দেশব্যাপী ২০২৪ সাল থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের বঙ্গমাতা আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হবে। শুধু তাই নয়, সব টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত সেরাদের নিয়ে দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এ ঘোষণা দিয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের জাতীয় পর্যায়ের খেলা। শনিবার (২১ অক্টোবর) মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে আমরা প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৭ চালু করি এবং দেশের সকল সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বঙ্গবন্ধু আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। আগামী বছর থেকে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্য দেশব্যাপী বঙ্গমাতা আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হবে। এ সকল টুর্নামেন্ট থেকে বাছাইকৃত সেরাদের নিয়ে দেশে-বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব একজন ব্যক্তিত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সর্বপ্রথম প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের ক্রীড়াঙ্গন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আন্তঃকলেজ চালু হওয়ার মধ্যে দিয়ে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পর্যায়কে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হলো। এটি বর্তমান সরকারের এ মেয়াদে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সীডমানিকে আমরা ১৭ কোটি টাকা থেকে ৬৭ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। প্রথমবারের মতো এ বছর থেকে মেধাবী খেলোয়াড়দের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছি। ক্রীড়াঙ্গনকে সমৃদ্ধ করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা আমরা করছি।
উদ্বোধনী ম্যাচের ঢাকা বিভাগের দল আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ৩-০ গোলে জামালপুর জেলার ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে দিয়েছে। দলের পক্ষে আতিক শাহরিয়ার ২ টি এবং সাব্বির হোসেন মোল্লা করেন ১ টি গোল।
এছাড়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। নির্ধারিত সময় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র ছিল।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে ৮৮৪ টি কলেজের ১৫৯১২ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। জেলা পর্যায়ের সেরা ২টি দল সুযোগ পায় বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। ১২৮টি কলেজের ২ হাজার ৩০৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয় বিভাগে এবং প্রতিটি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ মোট ১৬টি দল নিয়ে শুরু হলো জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতা।