উয়েফা মনোনাীত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা ফরোয়ার্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, নতুন দল জুভেন্টাসে যাওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিভারপুলে মোহাম্মদ সালাহ। অন্যদিকে সেরা গোলক্ষকের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন সালাহর নতুন ক্লাব সতীর্থ অ্যালিসন।
২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুলকে পৌঁছে দিতে সালাহ করেছেন ১০ গোল। যদিও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয় প্রিমিয়ার লিগের জায়ান্টদের। টানা তৃতীয়বারের মতো রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে। আর এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতোই দলের হয়ে সেরা অবদান ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
গতবছর অবশ্য রোনালদো এ পুরস্কার জিততে পারেননি। এবারের মৌসুমে পর্তুগীজ এ ফরোয়ার্ড সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেছেন। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সময় তিনি রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে পাড়ি জমান।
অন্যদিকে মাত্র ৬ গোল করে সেরা ফরোয়ার্ডের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেসি। শেষ ষোলোতে চেলসির বিপক্ষে জয়ী ম্যাচে গোল করেছিলেন মেসি। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে রোমার কাছে বিদায় নিতে হয়ে কাতালান জায়ান্টদের।
রোমাকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিতে অবদান রাখায় গোলরক্ষকের ক্যাটাগরিতে অ্যালিসন এগিয়ে রয়েছেন। সেমিফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাবটি লিভারপুলের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। এ লিভারপুলেই এবারের মৌসুমে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান নাম্বার ওয়ান এ গোলরক্ষক।
তালিকায় আরও আছেন রিয়াল মাদ্রিদের কেইলর নাভাস ও জুভেন্টাসের গিয়ানলুইজি বুফন। যদিও আসন্ন মৌসুমে বুফন প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইতে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়া সেরা মিডফিল্ডার ক্যাটাগরিতে রয়েছেন- মাদ্রিদের টনি ক্রুস ও লুকা মড্রিচ। তাদের সাথে আরও আছেন ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুয়েন। তবে ডিফেন্ডার ক্যাটাগরিতে সেরা তিনজনের মধ্যে প্রত্যেকেই মাদ্রিদের হওয়ায় এ পুরস্কারটি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের কাছে থাকছে। এ তালিকায় রয়েছেন- মার্সেলো, সার্জিও রামোস ও রাফায়েল ভারানে।
গত মৌসুমে গ্রুপ পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩২টি দলের কোচ ও ইউরোপ জুড়ে ৫৫ সাংবাদিক প্যানেলের ভোটে ইউরোপীয়ান লিগের সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হবেন। আগামী ৩০ আগস্ট ২০১৮-১৯ মৌসুমের ড্র অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।