নতুন মৌসুমে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে মূল দলে ফিরেই জোড়া গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি এ তারকার নৈপূণ্যে গত মৌসুমের রানার্স-আপ লেন্সকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে পিএসজি।
লিগে প্রথম দুই ম্যাচে জয়হীন ছিল দল দুটি। ফলে বিশেষ করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া ছিল প্যারিসের জায়ান্টরা। এ জয়ে শীর্ষে থাকা মোনাকোর থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি।
ট্রান্সফার সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে পিএসজিতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে মূল দলে খেলতে নেমেছিলেন এমবাপ্পে। ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার একটি ছাপ তার পারফরমেন্সে ফুটে উঠেছিল।
ম্যাচের প্রথমার্ধে তার একটি শট রুখে দেন লেন্স গোলরক্ষক ব্রিস সাম্বা। আরও একটি শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন লেন্সের অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন ডানসো। ৪৪তম মিনিটে মার্কো আসেনসিও গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন। ফরাসি জায়ান্টদের হয়ে আসেনসিওর এটাই প্রথম গোল।
এরপর ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। লুকাস হার্নান্দেজের সাথে বল আদান প্রদান করে প্রথম শটেই তিনি সাম্বাকে পরাস্ত করেন। এরপর এমবাপ্পের আরও একটি শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন সাম্বা।
শেষ দিকে ৯০তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থেকে এমবাপ্পে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির। তিন গোলে এগিয়ে থাকায় পিএসজির রক্ষণভাগ কিছুটা নির্ভার হয়ে খেলতে থাকে। তবে এ সুযোগে ইনজুরি টাইমে ওয়াহির আরও একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন ডোনারুমা। তবে শেষ মূহূর্তে মরগান গুইলাভোগুইয়ের শেষ শটটি মিলান স্ক্রিনিয়ারের সাথে ডিফ্লেক্ট হয়ে জালে জড়ালে সান্ত্বনার এক গোল পায় লেন্স।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, “আজ পুরো দল যেভাবে খেলেছে আমি সব সময়ই চাই তারা এভাবেই খেলুক। কিন্তু ফুটবলে সব সময়ই বিস্ময় অপেক্ষা করে। আজকের ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ছন্দ ছিল। আমার খেলোয়াড়রা ছিল দারুণ সাহসী। লেন্সের মতো দলের বিপক্ষে আমরা দারুণভাবে প্রতিরোধও গড়ে তুলেছি। একইসাথে বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেছি।”
লেন্স কোচ ফ্রাংক হেইস বলেছেন, “দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেকটাই স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছি। সবকিছুই অনেক দ্রুত হয়ে গেছে। যদিও আমরা ম্যাচ ছেড়ে দেইনি। কিন্তু দুই দলের মধ্যে পার্থক্যটা বেশ বড় ছিল।”