সুইডেনের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে প্রথমবারের মত নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠলো স্পেন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি-ফাইনালে সুইডেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে স্পেন। ম্যাচের ৮১ থেকে ৮৯ মিনিটের মধ্যে তিনটি গোল হয়েছে।
সেমিফাইনালের মঞ্চে স্পেনের বিপক্ষে ফেভারিট ছিলো সুইডেন। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত সেমিফাইনালে তারা। অপরদিকে, প্রথমবারের মত সেমির মঞ্চে তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে নামা স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে ছিল স্পেন। মধ্য মাঠ দিয়ে সুইডেনের আক্রমনের পরিকল্পনায় কাজে দেয়। কিন্তু স্পেনের রক্ষণদূর্গ ভাঙতে পারেনি সুইডেন। ম্যাচের অর্ধেক সময় পার হবার পর লড়াইয়ে ফিরে স্পেন। প্রথমার্ধে গোল আদায় করার মত কোন আক্রমণ করতে পারেনি কোন দলই। ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমভাগ।
দ্বিতীয়ার্ধে সমানতালে লড়েছে সুইডেন ও স্পেন। ৮০ মিনিট পর্যন্ত স্কোর লাইনে পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি তারা। তখন নির্ধারিত ৯০ মিনিট সমতায় শেষ হবার ইঙ্গিত দিচ্ছিলো।
ম্যাচের ৮১তম মিনিট থেকেই পাল্টে যায় চিত্রপট। ৮১ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল পেয়ে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী লেফট উইঙ্গার সালমা পারাউয়েলো। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে স্পেন। বাকি ম্যাচের শেষ কয়েকটা মিনিট গোল হজম ছনা করে পার করে দেয়াই লক্ষ্য ছিল তাদের।
তবে ৮৮তম মিনিটে স্পেনের গোলবারের জাল কাঁপিয়ে দেন স্ট্রাইকার রেবেকা ব্লমকভিষ্ট। লিনা হার্টিগের পাস থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন রেবেকা। ম্যাচে ১-১ সমতা পায় সুইডেন। অবশ্য এই সমতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
এক মিনিট পর ৮৯তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আক্রমণের রচনা করে আবারও গোল আদায় করে স্পেন। তেরেসা আবেলেরার কর্নার থেকে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। ২-১ গোলে লিড নেয় স্পেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর ইনজুরি সময়ে সাত মিনিট যোগ হয়। এ সময় আর কোন পক্ষই গোল করতে পারেনি। এতে অবিস্মণীয় জয়ে ইতিহাস গড়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলেছে স্পেন। প্রথমবার গ্রুপ পর্ব থেকে এবং পরেরবার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় তারা। অন্যদিকে এবারও সেমিতে হেরে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো সুইডেনের। এবার নিয়ে চতুর্থবার সেমি থেকে বিদায় নিলো তারা।
২০ আগস্ট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিজয়ী দল।