ম্যানচেস্টার সিটির শিরোপা জয়ের আধিপত্যকে খর্ব করে মৌসুম শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে পরিচিত ঐতিহ্যবাহী কমিউনিটি শিল্ডের শিরোপা জয় করেছে আর্সেনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকার পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে ৪-১ গোলে ট্রেবল জয়ী সিটিকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখায় গানার্সরা।
স্টপেজ টাইমের ১১ মিনিটে লিনড্রো ট্রোসার্ডের ডিফ্লেকটেড শটে ম্যাচে সমতায় ফিরে মিকেল আর্তেতার দল। এর আগে ৭৭ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার এসিস্টে কোল পালমার দুর্দান্ত কার্লিং শটে সিটিকে এগিয়ে দিয়েছিল।
টাই ব্রেকারে সিটির প্রথম স্পট কিক থেকে ডি ব্রুইনার শট বারে লাগে। দ্বিতীয় শটে বার্নার্ডো সিলভা সিটির হয়ে গোল করলেও রড্রির শট আর্সেনাল গোলরক্ষক এ্যারন রামসডেল রুখে দেন। আর্সেনালের হয়ে চারটি শটেই সফল ছিলেন মার্টিন ওডেগার্ড, ট্রোসার্ড, বুকায়ো সাকা ও ফ্যাবিও ভিয়েরা।
সাধারণত এই ধরনের হাই ভোল্টেজ প্রীতি ম্যাচে যা দেখা যার তার থেকে আর্সেনালের চাওয়া উৎসবটা অনেক বেশী উন্মত্ত ছিল। ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মত লিগ শিরোপা জয়ের আনন্দ থেকে আর্সেনাল এই সিটির কাছেই বঞ্চিত হয়েছিল। তারই একটা প্রতিশোধ হিসেবে অনেকেই দেখছে কালকের শিরোপাটি। যদিও লিগের সাথে এই ট্রফির কোন তুলনাই হয় না।
ম্যাচ শেষে গানার্স বস আর্তেতা বলেছেন, “এটা সত্যিই দারুণ এক অনুভূতি। বিশ্বের সেরা একটি দলের বিরুদ্ধে ওয়েম্বলিতে শিরোপা জয়ের আনন্দের চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না। আমরা এখানে ক্লাবের হয়ে শিরোপা জিততে এসেছি। সমর্থকরাও দারুন খুশি হয়েছে।”
সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছেন, “আমরা সত্যিই হতাশ। আজকে আমরা সবাই জিততে চেয়েছিলাম। ম্যানচেস্টার সিটি একটি ভাল দল। কিন্তু কখনো কখনো তাদেরও হারতে হয়। দিনের শেষে আমরা ভাল কিছু নিয়ে মাঠ থেকে বের হতে পারিনি। তাদের পেনাল্টি শ্যুটাররা আমাদের তুলনায় ভালো ছিল।”
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় ইংলিশ দল হিসেবে এক মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপে শিরোপা জয়ের মাধ্যমে গত আসরে ট্রেবল জয়ের কৃতিত্ব দেখায় সিটি।
অথচ এপ্রিল পর্যন্ত আট পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছিল আর্সেনাল। ছয় মৌসুমে সিটি পঞ্চম লিগ শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে, শেষ পর্যন্ত পাঁচ পয়েন্ট পিছিয়ে আর্সেনালের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।