ফিফা টায়ার-১ আন্তর্জাতিক নারী প্রীতি ফুটবলের দুটি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় পৌঁছেছে নেপালের নারী ফুটবল দল। নেপাল নারী দলের এ সফরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দশ মাস পর আবারও ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে সাবিনা খাতুনরা।
২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে এরপর আর কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। যেখানে সাফের গত আসরের রানার্সআপ দল নেপাল বসে থাকেনি।
মাঝে ‘টাকা অভাবে’ ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকের এশিয়ান বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে নারী ফুটবল দলকে পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যেখানে চলতি বছরের ৫ থেকে ১১ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সাত দিনের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রুপ বি-তে থাকা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ইরান, স্বাগতিক মিয়ানমার এবং মালদ্বীপ। দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে সেখানে আর হয়ে ওঠেনি সাফজয়ী সাবিনাদের।
বাংলাদেশের মেয়েরা টানা দশ মাস আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ খেলতে না পারলেও নেপালের মেয়েরা খেলেছে চারটি ম্যাচ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিরের মাঝে চারটি ম্যাচ খেলেছে নেপাল। যার মধ্যে দুটি ফ্রেন্ডলি এবং দুটি অলিম্পিক বাছাইপর্বে ম্যাচ রয়েছে।
ফিফা ফেন্ডলি ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচে প্রথমটি ২-২ গোলে এবং দ্বিতীয় ম্যাচটিতে গোলশূন্য ব্যবধানে ড্র করেছিল। এছাড়া অলিম্পিক বাছাইয়ের দুই ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে যথাক্রমে ৫-১ ও ২-০ গোলের ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে।
নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেও খেলার মধ্যে থাকায় প্রস্তুতির দিকে দিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ রয়েছে নেপালের মেয়েরা। ফলে ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে ভালো করতে হলে কঠোর পরিশ্রমই করতে হবে সাবিনা-কৃষ্ণাদের।
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দুটি ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে ১৩ ও ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। দুটি ম্যাচই শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।