২০২৪ সালের পর পিএসজির সাথে আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। একই সাথে ফরাসি এ তারকা ফুটবলার জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে তার ‘একমাত্র বিকল্প’ হলো প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) থাকা। লিওনেল মেসি চলে গেলেও আপাতত পিএসজি ছাড়ছেন না এমবাপ্পে।
জিব্রাল্টার বিপক্ষে ফ্রান্সের ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বের ম্যাচ উপলক্ষে পর্তুগালে এক সংবাদ সম্মেলনে এমবাপ্পে বলেন, “আমি আগেও বলেছি আমার লক্ষ্য ছিল ক্লাবটিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া। এখনো সেটিই আমার একমাত্র বিকল্প।”
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ক্লাবকে পাঠানো একটি চিঠিতে এমবাপ্পে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ২০২৫ সাল পর্যন্ত ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে থাকার বিকল্প সুযোগটি নেবেন না। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না একটি চিঠিতেই কেউ নিহত বা অপমানিত হয়ে যাবে।”
বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমবাপ্পে জানিয়েছেন, তিনি কখনো চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের পরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পিএসজির সঙ্গে আলোচনা করেননি। তার এমন মন্তব্যেই মেসির পর এই গ্রীষ্মে ২৪ বছর বয়সি এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার জল্পপনা কল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, পরের বছর খালি হাতে ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে এখনই তাকে বিক্রি করে পিএসজি নিজেদের জন্য কিছু নগদ অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেটিকেও উড়িয়ে দেননি এমবাপ্পে। বলেন, “না, এই খবরে এমন কিছু নেই যেটি আমাকে বিষ্মিত করবে।”
জিব্রাল্টার ম্যাচের চারদিন আগে চিঠি পাঠিয়ে জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে হস্তক্ষেপের কথাটিও অস্বীকার করেছেন ফরাসি অধিনায়ক। তিনি বলেন, “আমি সব কিছুই মেনে নিয়েছি। আমি জানি মানুষ কথা বলবে, সমালোচনা করবে। কারণ তারা ভেতর ও বাইরের সবকিছু জানে না। কিন্তু আমি জানি কী করছি এবং কেন করছি। এতে আমার কোন সমস্যা নেই।”
এমবাপ্পে বলেন, “অধিনায়ক হিসেবে আমার কিছু দায়িত্ব আছে। সামান্য কিছু গুজবের কারণে এই দায়িত্ব ছেড়ে আমি পালাতে পারি না। পালানো আমার স্বভাব নয়।”
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর একটি বক্তব্যের বিষয়েও কথা বলেন এমবাপ্পে। বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ওই খেলোয়াড়কে (এমবাপ্পে) ফ্রান্সে রেখে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি।
এ বিষয়ে এমবাপ্পে বলেন, “তিনি (প্রেসিডেন্ট) চান, আমি প্যারিসে থেকে যাই। আমারও লক্ষ্য থেকে যাওয়া। সুতরাং আমাদের দু’জনেরই চাওয়া এক ও অভিন্ন।”