সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা ফেরার প্রস্তাব পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। হতে পারতো একটা প্রত্যাবর্তনের গল্প, তবে সে দিকে আর পা বাড়াননি এই ফুটবল যাদুকর। নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, মিয়ামি হচ্ছে তার নতুন ঠিকানা। মেসির এমন সিদ্ধান্তকে শুভকামনা জানিয়েছে লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
বার্সার দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেসির বাবা এবং এজেন্ট সোমবার (৬ জুন) কাতালুনিয়া ক্লাবটিকে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানেই জানানো হয় স্পেনের পরিবর্তে লিও’র নতুন ঠিকানা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট লাপোর্তা বলেছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলো মেসি অনেক চাপের মধ্যে কাটিয়েছে। ফলে সে কম চাহিদা সম্পন্ন একটি লিগে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছে। যেখানে স্পটলাইট এবং চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবে। ফলে আমরা তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মেসির বাবা জর্জ মেসি এবং লাপোর্তা বার্সেলোনার এই কিংবদন্তিকে ভক্তদের কাছ থেকে যথাযথ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
পিএসজির হয়ে নিজের শেষ ম্যাচ খেলার পর থেকেই গুঞ্জন চলছিল সৌদি আরবের আল হিলাল কিংবা নিজের সাবেক ঠিকানা বার্সায় ফিরতে পারেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। তবে বার্সেলোনার হাত বাঁধা ছিল অর্থনৈতিক সমস্যায়।
এদিকে, মেসি জানিয়ে রেখেছিলেন বার্সেলোনায় ফিরতে না পারলে ইউরোপ ছাড়বেন। নিজেকে স্পটলাইটের আড়াল করে পরিবার নিয়ে ভাবতে চান। নতুন ক্লাবে যাওয়ার প্রসঙ্গে মেসিও সেই একই কথা বলেছেন। তিনি টাকার জন্য নতুন ঠিকানায় যাননি। তাহলে সৌদি আরবের লোভনীয় প্রস্তাবে রাজি হতেন।
চলতি মাসের ৩০ জুন পিএসজির সাথে বিশ্বকাপ জয়ী এ ফুটবলারের চুক্তি শেষ হবে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই অফিসিয়ালিভাবে ইন্টার মিয়ামির ফুটবলার হিসাবে নাম লেখাবেন লিওনেল মেসি।
বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর, ডেভিট ব্যাকহামের ক্লাবটির সাথে মেসি প্রাথমিকভাবে তিন বছরের চুক্তি করছেন। যেখানে প্রতি বছর ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন মেসি। এর সাথে সুযোগ থাকছে অ্যাপল টিভি এবং এমএলএসের মৌসুমী পাস থেকে আয় করার।