মালিয়ান ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতের হ্যাটট্রিকসহ চার গোলের সুবাদে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপ ফুটবলের শিরোপা জয় করলো মোহামেডান। মঙ্গলবার (৩০ মে) কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে পিছিয়ে পড়ার পরও চির প্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে কালো-সাদা জার্সির দলটি।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ৪-৪ গোলে ড্র ছিল। শুরুতেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শৈলি দিয়ে ২-০ গোলে আবাহনী এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধটা তারা শেষ করেছে ওই লিড নিয়েই।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে এমেকার পাস থেকে বাঁ পায়ের প্লেসিংয়ে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন তরুণ ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। এরপর গোলটি পরিশোধ করতে মোহামেডানের আক্রমনাত্মাক হয়ে ওঠার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আবাহনীর কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড কলিন্দ্রেস। ৪৪ মিনিটে রিদয়ের লম্বা পাস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে মোহামেডান। সফলও হয় তারা। এরই থারাবাহিকতায় ৫৬ মিনিটে মোহামেডানের হয়ে ১ম গোলটি করেন সোলেমান দিয়াবাত। ৪ মিনিট পর ফের গোল করে মোহামেডানকে ২-২ গোলের সমতায় পৌঁছে দেন তিনি।
তবে ৬৬ মিনিটে এমেকার গোলে আবারো লিড পায় আহানী (৩-২)। ৮৩ মিনিটে ফের গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পুরনের পাশাপাশি ম্যাচকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান মালিয়ান ফরোয়ার্ড দিয়াবাতে (৩-৩)।
অতিরিক্ত সময়ের খেলাতেও ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দিয়াবাতেকে বিপজ্জনক এলকায় আবাহনীর গোল রক্ষক শহিদুল আলম সোহেল ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মোহামেডান। ১১৫ মিনিটে স্পট থেকে নির্ভুল লক্ষ্য ভেদে নিজের চতুর্থ গোলের পাশাপাশি মোহামেডানকে এগিয়ে দেন মালিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে শেষ রক্ষা হয়নি মোহামেডানের।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ১১৭ মিনিটে গোলটি পরিশোধ করে দেন আবাহনীর রহমত মিয়া। ফলে ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের লড়াই।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে আবাহনীর কলিন্দ্রেস ও ব্রাজিলীয় তারকা রাফায়েলের শট রুখে দেন মোহামেডানের বদলি গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। এতেই ৪-২ গোলের ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় মোহামেডানের।
১৪ বছর আগে শেষবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে এই আবাহনীর বিপক্ষেই জয়লাভ করেছিল মোহামেডান। তখনও ধানমন্ডির ক্লাবটিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মতিঝিলের ক্লাব পাড়ার দলটি।
দীর্ঘ ১৪ বছর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে একই প্রতিপক্ষ আবাহনীকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন শিরোপা জয় করল মোহামেডান।