ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শিরোপা জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ম্যানচেষ্টার সিটি। নিজেদের ৩১তম ম্যাচে আর্সেনালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ম্যান সিটি। সিটি এগিয়ে গেলেও এ হারে শিরোপার পথে ধাক্কা খেয়েছে শীর্ষে থাকা আর্সেনাল।
আর্সেনালের বিপক্ষে জয় পেলেও ৩১ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ম্যান সিটি। হারলেও দুই ম্যাচ বেশি খেলে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে আর্সেনাল।
পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল হিসেবে মুখোমুখি হয় ম্যানচেষ্টার সিটি ও আর্সেনাল। শিরোপা জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ দু’দলের সামনে। সুযোগটা নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে ম্যানচেষ্টার সিটি।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে হালান্ডের পাসে বল পান ম্যান সিটির ডি ব্রুইনা। আর্সেনালের বক্সের মুখ থেকে নিখুঁত শটে গোল আদায় করে নেন ব্রুইনা। শুরুতেই পিছিয়ে পড়লেও ম্যান সিটিকে চাপে ফেলতে পারেনি আর্সেনাল।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যান সিটি। ব্রুইনার ফ্রি-কিক থেকে দারুণ হেডে গোল করেন জন স্টোনস। অফসাইডের কারণে প্রথমে গোলটি বাতিল হলেও পরে ভিএআরের সহায়তায় গোল পায় ম্যান সিটি। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর হালান্ড-ব্রুইনার দৃঢ়তায় ব্যবধান ৩-০ করে ম্যানচেষ্টার সিটি। হালান্ডের পাস ধরে ডান পায়ের শটে আর্সেনালের জালে দ্বিতীয়বারের মত বল জড়ান ব্রুইনা। ম্যাচ জয়ের পথ মসৃণ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে ম্যান সিটি। এরপরও গোল আদায় করতে পারেনি আর্সেনাল।
ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে আর্সেনালকে গোলের স্বাদ দেন রব হোল্ডিং। আর দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি সময়ের পঞ্চম মিনিটে আর্সেনালের জালে শেষবারের মত বল পাঠান হালান্ড।
এদিকে, ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে এখনই আনন্দে ভাসতে চান না ম্যান সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা। বলেন, “ম্যাচ জিতলেও আমরা এখনও আর্সেনালের পেছনে রয়েছি। ভাগ্য এখন আমাদের নিজেদের হাতে। যখন সবকিছু আমাদের হাতে, তখন সুযোগকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। পরের তিনটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজটি সহজ হবে না।”
অন্যদিকে, ম্যান সিটির সাথে হেরে হতাশ আর্সেনাল কোচ আর্তেতা। বলেছেন, “সত্যি বলতে, এখন আমাদের কী করা দরকার আমি তা জানি না। আমি হতাশ, ছেলেরাও হতাশ। এ জন্য আবারও ছেলেদের মনোবল উজ্জীবিত করতে হবে।”