ফিফার নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদকের কক্ষের দরজা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে আবু নাঈম সোহাগের নামফলক। এই কক্ষে বসেই সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বাফুফে অফিস করেছেন সোহাগ।
শুক্রবার ৯১ (এপ্রিল) ফিফার এব বিবৃতিতে আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ফিফার বরাদ্ধকৃত টাকা বিভিন্ন খাতে খরচের অনিয়ম পাওয়ার এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার শনিবার (১৫ এপ্রিল) বাফুফে ভবনে সোহাগের জন্য বরাদ্ধকৃত কক্ষের দরজা থেকে তার নামফলক সরিয়ে ফেলা হয়।
যদিও সোহাগের আইনজীবী এ বিবৃতিতে ফিফা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ‘ত্রুটিপূর্ণ ও অনুমাননির্ভর’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সাথে ফিফার রায়ের বিপক্ষে আপিল করা বলেও জানানো হয়।
ফিফার রায়ের বিষয়ে সোহাগের আইনজীবীর দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফিফার পাঠানো তহবিলের অপব্যবহার করা হয়েছে কিংবা বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে ব্যবহার করা হয়নি - রায়ে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। একইভাবে ফিফা ও বাফুফে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই প্রমাণও নেই। এর পাশাপাশি ফিফার অ্যাডজুডিকেটরি কমিটি বলেছে, ফাইলে এমন কিছুই নেই যাতে বোঝা যায় আবু নাঈম সোহাগ জালিয়াতি করেছেন কিংবা দরপত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। বরং দরপত্রটাই ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।’
তবে আপিলে যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ ফুটবলে সোহাগের ফেরাটা এখন বড়ই কঠিন পথ। আপিলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলেও বিশ্বাস অর্জন করাটা কঠিন। ফলে বাংলাদেশ ফুটবলে সোহাগের আর ফেরা হচ্ছে না এটা এখন নিশ্চিত করেই বলা যায়।