অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ আয়োজনে চলতি বছর অনুষ্ঠিত হবে ফিফা নারী বিশ্বকাপ। ফুটবলে নারীদের এ বিশ্বকাপ আসরটি ‘চরম উৎকর্ষতা’ সাধন করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ফিফা। মূলত ফিফার লক্ষ্য নারীদের ফুটবল আসরটিকে পুরুষ ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বি করে তোলা।
বিশ্বের অনেক দেশেই ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নারী ফুটবল। বিশ্ব টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন দেশে খেলাটির প্রতি আরও আগ্রহের সৃষ্টি হবে।
নারী বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে আর ১০০ দিন বাকি রয়েছে। দুই দেশের যৌথ আয়োজন আসরটি দির গণণা শুরুর দিন মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ফিফার শীর্ষ নারী ফুটবল কর্মকর্তা সারাই বারম্যান কথা বলেছেন।
আসরটি নিয়ে তিনি বলেন, ২’শ কোটিরও বেশি মানুষ এবারের ম্যাচগুলো উপভোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সংখ্যা ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আগের টুর্নামেন্টের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। সেই আসরের শিরোপা জয় করেছিল যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দল।
এবারের টুর্নামেন্টের জন্য ইতিমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) থেকে শুরু হয়েছে পরের ধাপের টিকিট বিক্রি। টুর্নামেন্টে রেকর্ড দর্শক উপস্থিত হবে বলেও আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
বারম্যান বলেন, “আমি বিশ্বাস করি ইভেন্টটি হবে সামাজিক পরিবর্তনের চালক, একটি নতুন টার্নিং পয়েন্ট। উদীয়মান নারীদের জন্য রোলমডেল, যা লিঙ্গ সমতার প্রচারে সহায়তা করবে।”
আটটি গ্রুপে মোট ৩২টি দেশ নারী ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিবে। প্রত্যেক গ্রুপে চারটি করে দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আসরে প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে চলতি বছরের ২০ জুলাই। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে নরওয়ে এবং স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।