আর্লিং হালান্ডের রেকর্ড পাঁচ গোলের সুবাদে আরবি লিপজিগকে শেষ ষোলর দ্বিতীয় লেগে ৭-০ ব্যাবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। একই সাথে এক মৌসুমে ৩৯ গোল করে নতুন ক্লাব রেকর্ডও গড়েছেন নরওয়েজিয়ান তরুণ।
আবুধাবী মালিকানাধীন সিটির এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেশ খানিকটা পথ বাকি আছে। তবে নক আউট পর্বে এসে সিটি কখনই হালান্ডের মতো কোন স্ট্রাইকারকে দলে পায়নি যে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মাত্র ২২ বছর বয়সে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে ২৫ ম্যাচে হালান্ড ইতিমধ্যেই ৩৩ গোল আদায় করে নিয়েছেন।
টানা ষষ্ঠ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট নিশ্চিত করলো। ম্যাচ শেষে হালান্ড বলেছেন, “আমার সর্বময় শক্তি হলো গোল করার ক্ষমতা। গোল করার সময় আমার মাথায় অনেক কিছু কাজ করে, আমি চেষ্টা করি গোলরক্ষক যেখানে নেই সেখানে বলটি নিয়ে যেতে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথমত এ ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। তার উপর পাঁচ গোল, পাশাপাশি ৭-০ গোলের জয়, সত্যিই অসাধারণ।”
ম্যানচেস্টারের তুষার আবহাওয়া অনেকটাই হালান্ডের মাতৃভূমির সদৃশ ছিল। কিন্তু চাপে থাকা সিটি পুরো ম্যাচে এর কোন প্রভাবই পড়তে দেয়নি। বড় জয়ে এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার স্বপ্ন তারা ভালোভাবেই ধরে রেখেছে।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকা সিটি দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর চার মিনিটের মধ্যে গুনডোগানের কোনাকুনি শটে ৪-০ ব্যবধানের লিড নেয়। ৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় সুযোগে ব্লাসভিচকে পরাস্ত করে হালান্ড রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান।
১৯২৮-২৯ মৌসুমে সিটির হয়ে ৩৮ গোল করে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন টমি জনসন। ৫৭ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির শট রুখে দেন ব্লাসভিচ। তবে ফিরতি বলে এবার জনসনকে ছাড়িয়ে যান হালান্ড। এ কৃতিত্বে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক ম্যাচে লিওনেল মেসি ও লুইজ আদ্রিয়ানোর পাঁচ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন।
ম্যাচ শেষের ২৫ মিনিট আগে হালান্ডের পরিবর্তে জুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান গার্দিওলা। স্টপেজ টাইমে ডি ব্রুইনার কার্লিং শটে সিটির বড় জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে অনেকটা মজা করেই গার্দিওলা বলেন, “মাত্র ২২ বছর বয়সেই সে যদি সব মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলে তবে তার জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যাবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস