ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে ব্রেস্টকে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে পিএসজি। শনিবার রাতের এ জয়ে কিছুটা হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায়ের হতাশা থেকে পিএসজিকে রক্ষা করেছে।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে প্যারিসের জায়ান্টদের ইউরোপীয়ান আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির ব্যর্থতার চিত্র ফুটে উঠলো। এখন পিএসজির সামনে মৌসুমের বাকি সময়টা শুধুমাত্র লিগ ওয়ানের ম্যাচ ছাড়া আর কিছু থাকলো না।
ব্রিটানি সফরে ৩৭ মিনিটে কার্লোস সোলারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। ব্রেস্ট গোলরক্ষক মার্কো বিজোট এমবাপ্পের শট রুখে দিলে ফিরতি শটে সোলার বল জালে জড়ান। ব্রেস্ট এখনো রেলিগেশন খরা এড়ানোর লড়াইয়ে রয়েছে। বিরতির আগে ফ্রাংক হোনোরাটের গোলে সমতায় ফিরে ব্রেস্ট।
এই ম্যাচে এক পয়েন্ট আদায় করতে পারলে রেলিগেশন এড়ানোর ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যেতে পারতো ব্রেস্ট। কিন্তু লিওনেল মেসির থ্রু বলে এমবাপ্পে শেষ মুহূর্তে গোল করে পিএসজিকে রক্ষা করেন। এই গোলের চার মিনিট আগে ব্রেস্ট মিডফিল্ডার হ্যারিস বেলকেবলাকে পিছন থেকে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছিল এমবাপ্পেকে।
কিছুটা ছন্দহীন পারফরমেন্স সত্বেও এই জয়ে পিএসজি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্সেইর থেকে লিগ টেবিলে পয়েন্টের ব্যবধান ১১’তে বাড়িয়ে নিয়েছে।
ম্যাচ শেষে পিএসজির বস ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ার বলেন, “সবাই হয়তো বলবে এটা খুবই কম ব্যবধানের জয়। কিন্তু জয় জয়ই। সবকিছু সবসময় নিখুঁত হয় না। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। শেষ মুহূর্তের গোলে আমরা জয়ী হয়েছি, এই বাস্তবতা লুকানোর কিছু নেই। বায়ার্নের বিরুদ্ধে পরাজয়ের তিন দিন পর এখানে এসে জয়ী হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা শিরোপা লড়াইয়ে টিকে আছি। সবকিছু হয়তো আমাদের পক্ষে নেই, কিন্তু জয়টাই এই মুহূর্তে মূখ্য।”
কাতারী মালিকের অধীনে নবম ও লিগে ১১তম রেকর্ড শিরোপা জয়ের পথে সঠিকভাবেই এগিয়ে চলেছে পিএসজি। নেইমরাসহ বেশ কিছু খেলোয়াড়কে ছাড়াই ব্রেস্টের মাঠে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। দোহায় ডান গোঁড়ালির অস্ত্রোপচারের কারণে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার অনুপস্থিত রয়েছেন। এবারের মৌসুমে বাকি সময়টাতে নেইমারের ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস