শেষ আটে যেতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের প্রয়োজন ছিল পিএসজির। ম্যাচের আগেও আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। তবে ম্যাচে ফল হল তার উল্টো।
বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজিকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শেষ আটে উঠে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে তারা জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার ঘরের মাঠে আরও দাপুটে জয় পেল বায়ার্ন। দুই লেগ মিলে ৩-০ তে জিতেছে জার্মানীর ক্লাবটি।
কাতার বিশ্বকাপের দুই সেরা খেলোয়াড় মেসি ও এমবাপ্পে কিছুই করতে পারলেন না। দু'একবার একটু ঝলক দেখালেও ম্যাচ জয়ের মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি তারা।
ইনজুরির কারণে ছিটকে যাওয়া নেইমার এই ম্যাচে ছিলেন না। তবে বাড়তি দায়িত্ব নিতে পারেননি মেসিরা। এই হারে আরও একবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরল পিএসজি। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়ের চন্যই বড় সব তারকার পেছনে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢালে পিএসজি।
এদিকে এই মৌসুমে বায়ার্নকে খুব বেশি ছন্দে মনে হচ্ছিল না। কিন্তু প্রথম লেগে জয় পেয়ে তারা নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল। দ্বিতীয় লেগে ড্র করলেও তারাই চলে যেতে শেষ আটে। তবে দাপুটে খেলায় এগিয়ে থেকেই পরের রাউন্ডে উঠলো তারা।
এবার তাদের প্রতিপক্ষ এসি মিলান। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জেতা ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এবার গোলশূন্য ড্র করেছে টটেনহ্যাম হটস্পারের মাঠে। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ আটে খেলবে তারা।
অথচ ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল পিএসজি। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপ্পের দারুন শট প্রতিহত করেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের।
১৯তম মিনিটে আবার সুযোগ পান এমবাপ্পে, এবার তিনি বল পাঠিয়ে দেন বাইরে। ২৫ মিনিটে মেসি বিপদজনক জায়গায় বল পেয়ে গোল মুখে শট মারেন তবে ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গোলকিপারের গ্লাভসে যায়।
শুরু থেকে রক্ষণাত্বকভাবে খেলা বায়ার্ন ৩২ মিনিটে গিয়ে প্রথম সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে গোলকিপার ডোন্নারুম্মা এই যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন। এরপর পিএসজির আশরাফ হাকিমি আবার সুযোগ পেয়েছিলেন।
কিন্তু এই মরোক্কানও পারেননি পিএসজিকে এগিয়ে দিতে। প্রথমার্ধে দাপটের সঙ্গে শেষ করেন সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও তারা এগিয়ে ছিল। কিন্তু বায়ার্ন ম্যাচে ঘুরতে মোটেই সময় নেয়নি।
দলকে এগিয়ে দেন চুপো-মোটিংকে। পিএসজির জন্য তখন কাজটা হয়ে যায় আরও কঠিন।। কিন্তু বারবার আক্রমণ করেও জাল খুজে নিতে পারেনন মেসিরা। উল্টো ম্যাচের শেষ সময়ে আরও একটি গোল খেয়ে বসে পিএসজি।
৮৯ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন সার্জ নারি। ক্ষীন আশাটুকুও তখন শেষ হয়ে যায়।
এই হারের পর পিএসজি নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে পড়লো। মেসি, নেইমার-এমবাপ্পেদের এতো অর্থ দিয়ে রেখে তাহলে কি লাভ ফরাসি ক্লাবটির..
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম