আগেরদিন মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল বার্সেলোনার। পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল তাদের সামনে। তবে পরেরদিন উল্টো হেরে গেল বার্সা।
রোববার রাতে বার্সাকে ঘরের মাটিতে ১-০ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছে আলমেরিয়া।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ইউরোপা লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে হেরেছে বার্সা। তাতে ছিটকে যায় ইউরোপা লিগ থেকে। এবার লা লিগায়ও হার। হঠাৎ করেই যেন কিছুটা ছন্দহীন হয়ে পড়ল বার্সা।
লা লিগার চলতি মৌসুমে এটা আলমেরিয়ার সপ্তম জয়। আর কাতালানদের দ্বিতীয় হার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারল বার্সা। গত বৃহস্পতিবার রাতে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ম্যানইউর কাছে হারে তারা।
টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর ওটাই ছিল বার্সার প্রথম হার। সেই হারের প্রভাব গিয়ে পড়ল আলমেরিয়া ম্যাচে। শিরোপা প্রত্যাশী বার্সাকে হারিয়ে লিগে টানা সাত ম্যাচের হারের বৃত্ত ভাঙল আলমেরিয়া।
অথচ টানা হারে অবনমনের আশঙ্কায় পড়েছিল তারা। দুর্দান্ত জয়ে স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল স্বাগিতকরা।
হারের পরও শীর্ষ স্থান মজবুত রয়েছে বার্সার। ২৩ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে তাকে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫২। তারাও খেলেছে সমান ২৩টি ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদের পয়েন্ট ৪৩।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় আলমেরিয়া। চমৎকার এক শটে বার্সার জালে বল পাঠান এল বিলাল তোরে। এই গোলটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
গোল শোধে সবরকম চেষ্টাই করেছে বার্সা। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা মাটি হয়ে গেছে। দলের সেরা তারকা রবার্ট লেওয়ানডস্কি ম্যাচজুড়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন।
অথচ ম্যাচের বল দখলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। তারা ৭২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল । কিন্তু সঠিক আক্রমণে ছিল পিছিয়ে। গোলের উদ্দেশ্যে ১৩টি শটের মধ্যে একটি মাত্র ছিল গোলমুখে। এই হারের পর শিষ্যদের পারফরম্যান্সে বেশ চটেছেন বার্সা কোচ জাভি।
ম্যাচ শেষে এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘‘আমার খুব রাগ হচ্ছে। এটাই মৌসুমের সবচেয়ে বাজে ম্যাচ ছিল আমাদের। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আমরা মোটেই ভালো খেলিনি। অনেক সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ ছিল এবং দিনটা খুব বাজেভাবে শেষ হলো। এই মৌসুমে আমরা আমাদের সবচেয়ে জঘণ্য ম্যাচটাই খেলেছি।"
দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকা বার্সার জন্য এই হারটা অঘটনই।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম