লিওনেল মেসি-নেইমারকে নিয়েই নিজেদের চেনা মাঠে নেমেছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে শক্তি বাড়াতে যোগ দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও, তবে মাঠের খেলায় এ যেন এক অচেনা পিএসজি। উল্টো ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখানো বায়ার্ন মিউনিখ দারুণ এ জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিতগত রাতে (বাংলাদেশ সময়) শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোল শূন্য ব্যবধানে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোমান।
পিএসজি দীর্ঘদিন ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করছে। কিন্তু কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারছে না। লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে-নেইমারকে দলে ভেড়াতে রেকর্ড টাকা ঢেলেছে ক্লাবটি, অথচ তাদের লক্ষ্যে পূরণই হচ্ছে না।
সম্প্রতি নিজেদের হারিয়ে খোঁজা পিএসজির এটি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তৃতীয় হার। অন্যদিকে, চলতি আসরে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখলো বায়ার্ন। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবগুলোতেই জয় তুলে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেছে ক্লাবটি।
সেমি-নেইমার একাদশে নিয়ে নামা পিএসজি শুরু থেকেই পিছিয়ে থাকে। বিপরীতে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। তবে প্রথমার্ধে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে, অর্থাৎ ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আলফুঁস ডেভিসের ক্রস থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্স থেকে কিংসলে কোমানের ভলিতে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।
১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর কার্লোস সলেরকে তুলে নিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান পিএসজি কোচ। এর আগে চোটের কারণে দলের সবশেষ তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি ফরাসি এই তারকা। দলের শক্তি বাড়ালেও হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া থেকে রক্ষা পায়নি পিএসজি।
বরং শেষ দিকে এমবাপ্পে দুইবার বল জালে জড়ালেও অফসাইটের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ৭৩তম এবং ৮২তম মিনিটে জালে বল পাঠান এমবাপ্পে। দুইবারই অফসাইডের কারণে রেফারি গোল বাতিল করেন।
হারের স্বাদ পাওয়া নিশ্চিত হওয়া ম্যাচে যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাভার্দ। ডি-বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেছিলেন তিনি। তবে দল জয় পাওয়ায় সেটি হয়তো বেশ আসলে নেবে না বায়ার্ন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস