কাতার বিশ্বকাপে একজন সেরা খেলোয়াড়, আরেকজন সর্বোচ্চ গোলদাতা। বিশ্বকাপের পর দু'জনে এক সঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন রোববার। আগের ম্যাচে লিওনেল মেসি পিএসজিকে জিতিয়েছিলেন। এদিন মেসির সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার মাঠে নেমেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না।
ফরাসি লিগে পয়েন্টে টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকা রেনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পিএএসজি। ঘরের মাঠে দুরন্ত ফুটবল খেলল রেনে। হারের পর পিএসজির পয়েন্ট ১৯ ম্যাচে ৪৭।
ম্যাচের প্রথম একাদশে ছিলেন মেসি ও নেইমার। পরিবর্ততে মাঠে নামেন এমবাপ্পেও। কিন্তু তার পরও শেষরক্ষা হল না। বিশ্বকাপের পরে এই প্রথম বার ক্লাবের জার্সিতে একসঙ্গে খেলতে নামলেন সোনার বল ও সোনার বুটের মালিকরা।
কিন্তু জমল না সেই জুটি। মৌসুমে দ্বিতীয় বার হারতে হল পিএএসজিকে । এই হারের ফলে লিগ ওয়ানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়াল তিন।
বিশ্বকাপ শেষে আগেই মাঠে ফিরেছেনে এমবাপ্পে ও নেইমার। এমবাপ্পে আবার ছুটিতে গিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর শিরোপা এনে দেওয়া মেসি আগের ম্যাচে মাঠে নামেন। ছন্দে থাকা নেইমারও ছিলেন এই ম্যাচে। কিন্তু ম্যাচে আধিপত্য দেখাল রেনেসাই।
গোটা ম্যাচে গোল লক্ষ্য করে মাত্র একটি শট মারতে পেরেছেন মেসিরা। অন্য দিকে রেনে মেরেছে ছয়টি শট। ১৭টি ফাউল করেছেন পিএসজির ফুটবলাররা। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দিনটা একেবারেই পিএসজির ছিল না। ছন্দে ছিলেন না মেসি, এমবাপ্পেরা। ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি দল।
পিএসজিকে হারানোয় ঘরের মাঠে টানা নয় ম্যাচ জিতল রেনে। প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচের একমাত্র গোল করেন হামারি ট্রাওরে।
পিছিয়ে পড়ে এমবাপ্পেকে মাঠে নামিয়ে দেন কোচ। কিন্তু তার পরেও গোল করতে পারেনি পিএসজি। শেষ পর্যন্ত ০-১ হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম