বিশ্বকাপে ছিলেন অধিনায়ক। ফাইনালের ফ্রান্সকে জেতাতে পারেননি গোলকিপার হুগো লরিস। ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স। তবে পুরো টুর্নামেন্ট লরিস দারুন পারফর্ম করেন। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন ফ্রান্সের এই গোলকিপার।
ফ্রান্সের হয়ে প্রায় ১৪ বছর ফুটবল খেলছেন লরিস। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষকও ছিলেন তিনি। দেশের হয়ে ১৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন লরিস। তিনিই ফ্রান্সের হয়ে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার। নিজের অবসরের সঙ্গে লরিস জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের হয়ে এখন থেকে গোলপোস্টের নীচে দেখা যাবে কাকে।
লরিস বলেন, “একটা সময় আসে যখন নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। আমি অনেকবার বলেছি যে, ফ্রান্স দলটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। আমি জানি আমাকে ছাড়াও মাঠে নামার বাকি দল তৈরি। গোলরক্ষক হিসাবে তৈরি মাইক মেগনানও।”
এমনিতেই শেষ ডাক চলে এসেছিল। বয়স ৩৬। ফ্রান্স নিশ্চই পরবর্তি বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই গোলকিপার প্রস্তুত করতে চাইবে। তবে লরিস জানিয়েছেন যে, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করলেন তিনি।
তিনি বলেন, “খেলোয়াড় হিসাবে নিজের সেরা সময় থাকতে থাকতেই অবসর নেওয়া ভালো। যে সময় আমার খেলার মান কমে যাবে, তখন অনেকে চলে আসবে আমার জায়গা নেওয়ার জন্য। তার চেয়ে নিজে ছেড়ে দেওয়া ভালো। একই সঙ্গে পরিবারকে আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত। আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের সময় দিতে চাই।”
২৪ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামবে ফ্রান্স। ২০২৪ সালের ইউরোর যোগ্যতা অর্জন পর্বের সেই ম্যাচে লরিসের জায়গায় ফ্রান্সের এক নম্বর গোলরক্ষক কে হবেন তা ঠিক করবেন কোচ দিদিয়ের দেশম।
এদিকে বিশ্বকাপে খেলতে না পেরে অনেকটা অভিমান নিয়েই অবসরে গেছেন করিম বেনজেমা। বিশ্বকাপের আগে তার চোট ছিল। তিনি শেষ দিকে সুস্থ্য হলেও কোচ খেলায়নি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে এবং মাঝে একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। দেশ ট্রফি জিততে না পারায় অবসর নিয়ে ফেললেন বেনজেমা। এছাড়া তারও বয়স হয়েছে। পরবর্তি বিশ্বকাপ যে খেলতে পারবেন না এটাও তার জানা ছিল। এক মাসের ব্যবধানে ফ্রান্সের দুই তারকা ফুটবলারের বিদায়। তবে তরুনদের জন্য এটা সুযোগও।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম