বিশ্ব ফুটবলের প্রথম মহাতারকা পেলে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে জীবনের সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত পেরে উঠলেন না । ব্রাজিলের হয়ে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র ফুটবলার পেলে বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেলেন।
২০২১ সাল থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। কাতার বিশ্বকাপের সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৯ নভেম্বর তাকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই সময়ে হঠাৎ করেই কিছু সংবাদ মা্ধ্যম জানিয়েছিল পেলের বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছে চিকিৎসক। পরে পেলের মেয়ে জানান, বাবা ভালো আছে। বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা জানানে। নেইমাররাও মাঠে বসেই পেলের জন্য প্রাথর্ণা করেন।
২২ ডিসেম্বর ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ বেড়ে যায়। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে বাড়ি ফেরা হয়নি। বড়দিনে এ বছর হাসপাতালেই কাটিয়েছিলেন পেলে।
চিকিৎসকের কথা বুঝতে পেরে সর্বশেষ কয়েকদিনে পরিবারের লোকজন পেলের পাশেই ছিলেন। তবে কোনো কিছুতেই আর ফিরলেন না ফুটবল সম্রাট। চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন পেলে।
ফুটবল মহানায়কের বিদায়ে শোক জানিয়েছেন, বিশ্বের সব ধরনের খেলার তারকা্ই। ‘ফিফা’ ম্যাগাজিনের পাঠক এবং জুরি বোর্ডের বিচারে বিংশ শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ ফুটবলার ছিলেন পেলে। কিন্তু সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের ভোটে এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবল সম্রাট দিয়েগো ম্যারাডোনা।
ফিফ শেষ পর্যন্ত যুগ্নভাবে ব্রাজিলের পেলে ও আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনাকে যুগ্ম ভাবে শতাব্দীসেরা ঘোষণা করে। বয়সে অনেক ছোট ম্যারাডোনা ২০২০ সালে ৬০ বছর বয়সে হঠাৎ করেই মারা যান। এবা পেলেকে হারিয়ে শতাব্দি সেরা ফুটবলারকের হারালো ফুটবল বিশ্ব।
পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো। তার বাবাই তাকে ফুটবলার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেনীত করতেন। বিশ্ব তাকে চেনেন পেলে নামেই।
সে নামে অবশ্য বিশ্ব তাঁকে চেনেনি। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার পর আরও তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন পেলে। চার বিশ্বকাপের মধ্যে তিনটিই জিতেছে ব্রাজিল। টানা তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিত্ব নেই আর কোনো দলেরই।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম