মাশরাফি মুর্তজা নেমে পড়লেন রাস্তার। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঢোল বাঁজিয়ে উদযাপন করলেন আর্জেন্টিনার ট্রফি জয়। মেসির জার্সি গায়ে জড়িয়ে গাড়ী নিয়ে রাস্তার ভক্তদের সঙ্গে উদযাপন করলেন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।
চট্টগ্রামের টিম হোটেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করেছেন। মেসির হাতে ট্রফি দেখার পর লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ-নাজমুল হোসেনরাও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
মিরপুরে পাগলাটে উদযাপন মাশরাফি সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ঢোল পিটিয়েছেন। পাশে ছেলে ও মেয়ে ঢোলের তালে নেচেছেন। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বোঝার পরে আমার ২৮ বছরের অপেক্ষা। শেষমেশ উদ্যাপনটা বাচ্চাদের সঙ্গেই করতে পারলাম। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা।’
দিয়েগো ম্যারাডোনাকে এইদিনে স্মরণ করে মাশরাফি নিজের ব্যাক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমিও আজ আবেগাক্রান্ত, আর্জেন্টিনার জয় দেখেছি অনেক, কিন্তু বিশ্বকাপ জয় প্রথম। লিও তোমার প্রতি অফুরান ভালোবাসা।’
তিনি লেখেন, ‘কিন্তু আমার গুরু তো শুধু একজন, যে আজ এই পৃথিবীতে নেই। সে থাকলে আজ কী করত কে জানে! তার মতো আবেগ দিয়ে কেউ ফুটবল খেলেছে কি না সন্দেহ। গুরু তোমায় আজ অনেক মিস করছি। ওপারে ভালো থেকো, দ্য গ্রেটেস্ট ম্যারাডোনা।’
মাশরাফি লেখেন, ‘শেষ মেষ দেখলাম। এমন একটা দলকে সমর্থন করি যে দলটাকে নিয়ে শুধু মজা করতে দেখেছি আর হাসির পাত্র হয়েছি। কিন্তু কখনও দলটার প্রতি বিন্দু মাত্র ভালোবাসা কমেনি বরং বেড়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে বিশ্বকাপ জিতা দেখার প্রয়োজন নাই এভাবেই তোদের ভালোবেসে যাব, দেখি তোরা কতো হারতে পারিস।’
তিনি বলেন, ‘আমার হাতের কয়েক জায়গায় কাটা দাগ আছে, ৯৮ সালে বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর হঠাৎ না বুঝে, ব্লেড দিয়ে কয়েক জায়গায় কেটে ফেলি। লজ্জায় কখনো বলিনি, বয়স ও কম ছিলো। হয়তো আবেগে করে ফেলেছিলাম। পরে ভাবতাম এটা ঠিক করিনি। আসলেই এখন ওটা ভাবলেও নিজের কাছে খারাপ লাগে।’
লিটন দাস লিখেছেন, ‘এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। কী এক ম্যাচ আর আর্জেন্টিনার কী এক জয়! মেসি, আপনি এর যোগ্য।’
নাজমুল হোসেন শান্ত লিখেছেন, ‘ট্রফিটা হস্তান্তর হলো ‘জিনিয়াস’ লিও মেসির হাতে। চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।’
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম