উত্তেজনাপূর্ণ কাতার বিশ্বকাপ কাপে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ২-২ গোলে সমতা, অতিরিক্ত সময়ে আরও একটি করে গোল, ৩-৩। এরপর পেনাল্টির মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। শিরোপা উঠলো লিওনেল মেসির হাতে।
সমতায় খেলা শেষ হওয়ায় টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। এর মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো প্রয়াত দিয়াগো ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনা।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে (বাংলাদেশ সময়) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি।
২৩তম মিনিটে মেসির গোল থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৬তম মিনিটে ডি মারিয়া গোল করে ২-০ লিড এনে দেন। গোলের এ ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতি থেকে ফিরেও গোলে এ লিড ধরে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তবে শেষ দিকে মাত্র ১ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনা বিপদে ফেলে দেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে। ক্লাব পিএসজিতে মেসির সতীর্থ এমবাপ্পের জোড়া গোলে জমে যায় বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
নাটকীয়তার তখনও অনেক বাকি ছিল। সমতায় থাকায় ফাইনাল ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ঘটে যায় নাটকীয় ঘটনা। অতিরিক্ত সময়ে আবারও দলকে এগিয়ে নিলেন মেসি। নিজের দ্বিতীয় গোল থেকে দলকে এগিয়ে দিলেও বেশিক্ষণ ধরে রাকা সম্ভব হয়নি।
পেনাল্টি পেয়ে সুযোগ কাজে লাগালেন এমবাপ্পে। নিজের হ্যাটট্রিক গোল দিয়ে লকে আবারও সমতায় ফেরান তিনি। এরপর আর্জেন্টিনা চেপে ধরলেও গোল আদায় করতে পারেননি এমবাপ্পে। শিরোপা নির্ধারণী দল নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
ম্যাচে ভুল করলেও টাইব্রেকারে ভুল করেনি আর্জেন্টিনা। নিখুঁত শটে গোল আদায় করে নেন মেসি-দিবালারা। টাইব্রেকারে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বুলেট গতির শটে ১-০ তে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
এরপর আর্জেন্টিনার প্রথম শটে গোল করে স্কোর ১-১ করেন লিওনেল মেসি। ফ্রান্সের দ্বিতীয় শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিংসলে কোমানের শট ঠেকিয়ে দেন তিনি।
আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শটে পাওলো দিবালা গোল করলে ২-১ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের তৃতীয় শটেও হতাশ হতে হয়। অহেলিয়া চুয়ামেনি চুয়ামেনি শট বাইরে দিয়ে চলে গেলে আরও পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। এরপর তৃতীয় শটে লেয়ান্দ্রো পারেদেস গোল করলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
ফ্রান্সের চতুর্থ শটে রন্দাল কোলো মুয়ানি গোল করলে আশা টিকে ছিল। তবে চতুর্থ শটে গনসালো মনতিয়েল জাল খুঁজে নিলে বিশ্ব জয়ের উল্লাসে মেতে উঠে আর্জেন্টিনা। টাইকব্রেকারে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা। এর মধ্য দিয়ে১৯৮৬ সালের পর শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস