নির্ধারিত সময়ের বাকি মাত্র ১০ মিনিট। ২-০ গোলে এগিয়ে মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচের স্কোর-বোর্ড যখন এমন ঠিক তখনই এমবাপ্পের ভেলকি দেখলো ফুটবল বিশ্ব। মাত্র একমিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করলো কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল। আর তাতেই ২-২ সমতা করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
শুরু থেকেই ৩৬ বছর পর আবারও শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে ফ্রান্সের বিপক্ষে থেকেই আক্রামণাত্নক খেলা করে আকাশি-নীলরা। এরই ফলস্বরূপ লা ব্লুজদের ডি বক্সে বল এলে ডেমবেলের প্রতিরক্ষার ভুল পদক্ষেপে স্পট কিকের সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। আর এই সুযোগই দলকে এগিয়ে নেন ফুটবল মহাতারকা লিও মেসি।
এরপরের ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে খেলে এমবাপ্পে জিরুরা। তবে তাদের আক্রমণে হঠাৎ করেই আসে নতুন ধাক্কা। ৩৬ মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক দেখে ফুটবল বিশ্ব। মেসিদের আক্রমণে অ্যালিস্টারের থেকে পাস নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডি-মারিয়া। আর এতেই স্কোর-বোর্ড দাড়ায় ২-০ গোল।
এরপর জালের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের সামনে পাত্তা পাইনি এমবাপ্পেরা। সব শেষ ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দিদিয়ের দেশমের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। তবে এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে বোকা বানাতে পারেনি এমবাপ্পে-জিরুরা। এভাবেই নির্ধারিত সময়ের শেষ প্রান্তে পৌছায় দুদল।
শেষ ১০ মিনিটের আগে কে ভেবেছিল যে, আর্জেন্টিনার জয়ের বাধা হবে এমবাপ্পে। শুরুতে স্পট কিক থেকে ম্যাচের ৮০ মিনিটে ব্যবধান সমান করে এমবাপ্পে। এরপরেও হয়তো আর্জেন্টাইন সমার্থকদের ধারণা ছিল বাকি ম্যাচে আর জালের দেখা পাবেনা।
তবে সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করলো ফরাসি সেনসেশন কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানেই ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত এক শট দিয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল পূর্ণ করে এমবাপ্পে।
এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে গোলের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে খেলে দুইদল। এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেয় মার্তিনেস। অন্যদিকে মেসির শট আটকে দেয় ফরাসি গোলরক্ষক। এভাবেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধের শেষে স্কোর বোর্ড দাড়াই ২-২ গোল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এমটিআর