হাতপাতালে থেকেই ব্রাজিল ফুটবল দলের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছিলেন পেলে। নেইমাররাও দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতে পেলের জন্য প্রার্থণা করেন। অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। তার ফুসফুসের সংক্রমণ আর নেই। তবে এরই মধ্যে যে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল।
অনেকটা সুস্থ হলেও এখনই পেলেকে বাড়িতে যেতে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। বাড়তি সতর্ক থাকছে তারা। অনেকদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন। একই সঙ্গে বয়সজনিত সমস্যাও রয়েছে। ২৯ নভেম্বর থেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হন পেলে।
ব্রাজিলের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার আগে হঠাৎ করেই খবর ছড়িয়েছিল যে পেলের অবস্থা সংকটাপূর্ণ। চিকিৎসকরা কোনো আশা দেখছেন না, এমনটাও জানিয়েছিল কিছু সংবাদ মাধ্যম। পরে অবশ্য তার মেয়ে খবরটা সঠিক নয় বলে জানান। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘পেলের শারীরিক অবস্থা প্রতিদিনই উন্নতি হচ্ছে। তবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও তারিখ ঠিক করা হয়নি। ফুসফুসের সংক্রমণও আর নেই। তাকে সাধারণ ঘরে রাখা হয়েছে। সমস্ত শারীরিক অবস্থান স্থিতিশীল রয়েছে।’
এদিকে বাবাকে হাতপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন বড় মেয়ে ফ্লাবিয়া নাসিমেন্তো। তিনি আমেরিকা থেকে সাও পাওয়োতে গেছেন। সুস্থ পেলের সঙ্গে একটি ছবি তিনি দিয়েছেন সমাজমাধ্যমেও।
অনেকদিন ধরেই অসুস্থ্য পেলে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি আবার বাড়ি থেকে হাসপাতাল এভাবেই কাটছে দিন। তিনবার বিশ্বকাপজয়ী পেলে সুস্থ্য হলেও নিশ্চই তার মন ভালো নেই। বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের বিদায়ে তার চেয়ে মন খারাপ আর কারই বা হতে পারে। সর্বকালের অন্যতমসেরা এই ফুটবলার নিশ্চই ব্রাজিলের ঘরে আরও একটি শিরোপা দেখার আশায় আছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম