কে হবে কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাধারী, সেই দিকে তাকিয়ে গোটা ফুটবল বিশ্ব। তবে ট্রফি ছাড়াও আরও একটি বিষয়ে তাকিয়ে আছেন ফুটবল তারকাসহ ভক্তরা। আর তা হলো কার হাতে উঠছে গোল্ডেন বুট।
সেরা হওয়ার তালিকায় এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন ফুটবল যাদুকররা। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বাদ পড়ায় অনেক ফুটবল তারকাই থাকছে না সেরা হওয়ার দৌড়ে।
ব্রাজিলের রিচার্লিসন, ইংল্যান্ডর রাশফোর্ড-সাকা, পর্তুগালের গন্সেলো রামোস কিংবা স্পেনের মোরাতা কারোরই ভাগ্যেই এবার থাকছে না মরুর দেশে সেরা হওয়ার সুযোগ। গোল্ডেন বুটের দৌড়ে টিকে রয়েছেন মাত্র তিনজন।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কে কে থাকছেন এ তালিকায়-
১. কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স)
তেলের দেশটিতে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ পর্যন্ত সর্বোচ্চ জালের দেখা পেয়েছেন ফ্রান্স স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে। ডেনমার্ক ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোলসহ এমবাপ্পে দখলে গোল সংখ্যা পাঁচ ম্যাচে ৫।
২. লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
ক্যারিয়ারের শেষদিকে বিশ্বকাপে দলকে শিরোপা উপহার দিতে একধাপ এগিয়ে লিওনেল মেসি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচেই গোল করেছেন আর্জেন্টাইন এ ফুটবল যাদুকর। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪টি গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই ঠিকে রয়েছেন মেসি।
এছাড়া আর একটিবার জালের দেখা পেলেই আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডে নাম লেখাবেন এলএমটেন।
৩. অলিভিয়ে জিরু (ফ্রান্স)
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোল করে নিজের জানান দিয়েছেন ফ্রান্স ফরোয়ার্ড অলিভিয়ে জিরু। শেষ আটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ গোলের ব্যবধানকে দ্বিগুণ করেছেন জিরু।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ইংলিশদের রক্ষণভাগ ভেদ করে জালের দেখা পেলে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের। ওই গোল দিয়ে তার নামের পাশে ৪টি গোলের সংখ্যা যোগ করেছেন তিনি।
এদিকে, সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় থাকা বাকি ফুটবলারদের দল বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যে বাদ পড়েছে। যার ফলে এবারের মতো তাদের গোল্ডেন বুট পাওয়ার স্বপ্নও অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।
ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে গোল্ডেন বুট জয়ীদের তালিকা
১.গুইলারমো স্টাবিলে (১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপ), আর্জেন্টিনা, ৮ গোল
২. অলড্রিচ নেইয়েডলি (১৯৩৪ ইতালি বিশ্বকাপ), চেকোস্লোভাকিয়া, ৫ গোল
৩. লিও নিডাস (১৯৩৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপ), ব্রাজিল, ৭ গোল
৪. আদেমির (১৯৫০, ব্রাজিল বিশ্বকাপ), ব্রাজিল, ৮ গোল
৫. সন্দোর ককসিস (১৯৫৪, সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপ), হাঙ্গেরি, ১৩ গোল
৬. জাস্ট ফন্টেইন (১৯৫৮, সুইডেন বিশ্বকাপ), ফ্রান্স, ১৩ গোল
৭. হাঙ্গেরির ফ্লোরিয়ান আলবার্ট, সোভিয়েত রাশিয়ার ভ্যালেন্টিন ইভানোভ, ব্রাজিলের গারিঞ্চা অ্যান্ড ভাভা, যুগোস্লোভিয়ার ড্রাজান জারকোভিচ , চিলির লিওনেল সানচেজ (১৯৬২, চিলি বিশ্বকাপ), ৪ গোল
৮. ইউসেবিও (১৯৬৬, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ), পর্তুগাল, ৯ গোল
৯. গার্ড মুলার (১৯৭০, মেক্সিকো বিশ্বকাপ), জার্মানি, ১০ গোল
১০. জিওর্জে লাটো (১৯৭৪, পশ্চিম জার্মানি বিশ্বকাপ), পোল্যান্ড, ৭ গোল
১১. মারিও কেম্পেস (১৯৭৮, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ), আর্জেন্টিনা, ৬ গোল
১২. পাওলো রোসি (১৯৮২, স্পেন বিশ্বকাপ), ইতালি, ৬ গোল
১৩. গ্যারি লিনেকার (১৯৮৬, মেক্সিকো বিশ্বকাপ), ইংল্যান্ড, ৬ গোল
১৪. সালভাতোর স্কিলাচি (১৯৯০, ইতালি বিশ্বকাপ), ইতালি, ৬ গোল
১৫. রাশিয়ার ওলেগ সেলেঙ্কো, বুলগেরিয়ার হিস্টো স্টোইচকভ (১৯৯৪, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ), ৬ গোল।
১৬. দাভর সুকের (১৯৯৮, ফ্রান্স বিশ্বকাপ), ক্রোয়েশিয়া, ৬ গোল
১৭. রোনাল্ডো নাজারিও (২০০২, দক্ষিণ কোরিয়া/জাপান বিশ্বকাপ), ব্রাজিল, ৮ গোল
১৮. মিরোস্লাভ ক্লোসে (২০০৬, জার্মানি বিশ্বকাপ), জার্মানি, ৫ গোল
১৯. টমাস মুলার (২০১০, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ), জার্মানি, ৫ গোল
২০. হামেস রড্রিগেজ (২০১৪, ব্রাজিল বিশ্বকাপ), কলম্বিয়া, ৬ গোল
২১. হ্যারি কেন (২০১৮, রাশিয়া বিশ্বকাপ), ইংল্যান্ড, ৬ গোল
স্পোর্টসমেইল২৪/এমটিআর