ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করলো বেলজিয়াম। আর রাশিয়া বিশ্বকাপের আাসরে চতুর্থ হলো ইংল্যান্ড। এ জয়ে যেন বেলজিয়ামের হতাশা আরও বাড়লো। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে না হারলে আজ তারাও খেলতো ফাইনালে। তবে দেশটির ফুটবল ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ অর্জন। সেক্ষেত্রে তারা ‘সান্ত্বনা’ খুঁজতেই পারে।
সেন্টপিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে শনিবার খেলার শুরুতেই ম্যাচের ৩ মিনিটেই ইংল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। গোল করেন থমাস মুনিয়ের। এর খেলার ৮২ মিনিটে দুর্দান্ত আরও এক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে বেলজিয়াম। এবার গোল করেন ইডেন হ্যাজার্ড।
খেলার প্রথমেই এগিয়ে গিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বেলজিয়াম। তবে বল দখলে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১২ মিনিটে ইংলিশ রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান কেভিন ডে ব্রুইনে। তবে তার শট এক হাত দিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি জর্ডান পিকফোর্ড।
২৫ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু রাহিম স্টার্লিয়ের ছোট পাস পেয়ে ১৬ গজ দূর থেকে হ্যারি কেইনের নেয়া জোরালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির পর ম্যাচের চিত্রপটে কিছুটা পরিবর্তন আসে। বল দখলে রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গোছানো আক্রমণও করে ইংল্যান্ড। ৬৯ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল তারা। ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের উপর দিয়ে শট নেন এরিক ডায়ার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছুটে এসে পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন টটেনহ্যাম হটস্পারের টবি আল্ডারভাইরেল্ড।
৮২ মিনিটে দারুণ এক গোলে জয় নিশ্চিত করেন আজার। ডে ব্রুইনের পাস ধরে গতিতে সঙ্গে লেগে থাকা ফিল জোনসকে পিছনে ফেলে ডি-বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান চেলসি ফরোয়ার্ড। আসরে এটা তার তৃতীয় গোল।
এছাড়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের এটাই সেরা অর্জন। এর আগে ১৯৮৬ আসরে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে তাদেরকে ৪-২ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্স। ম্যাচ শেষে গলায় পদক কিছুটা হলেও ‘সান্ত্বনা’ দেবে দেশটির সোনালী প্রজম্মের খেলোয়াড়দের।