উত্তেজনাকর ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে জয় তুলে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল পর্তুগাল। গ্রুপ-এইচ-এর ম্যাচটি প্রথমার্ধে সাদামাটা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ গোলে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
অিনেকটা নিষ্প্রভ ভাবে শেষ হয় ঘানা-পর্তুগালের মধ্যকার ম্যাচের প্রথমার্ধ। পর্তুগালের আক্রমণে রক্ষনভাগ থেকে বের হতে পারেনি ঘানার ফুটবলাররা। ফলে ৪৫ মিনিটের বেশিরভাগ সময় নিজেদের অর্ধেই বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে ছিল পর্তুগাল।
নিষ্প্রভ প্রথমার্ধে কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। পর্তুগাল কয়েকবার আক্রমণ করলেও গোল আদায় করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে অবশ্য ঘানাকে সফল বলাই যেতে পারে। কারণ, প্রথমার্ধে পর্তুগালকে নিজেদের বাঁধা দেয়নি তারা। ফলে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতিতে থেকে ফিরে পাল্টে যায় খেলা। আক্রমণের ধারা অব্যাহত থাকায় ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। সফল স্পট কিক থেকে রেকর্ড গড়া গোলে ‘ডেডলক’ ভাঙেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাঁচ আসরে গোল করা প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান রোনালদো।
আট মিনিট পর ৭৩তম মিনিটে সমতায় ফিরে ঘানা। জটলার মধ্য থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান আন্দ্রে আইয়ু। তবে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ঘানা। তিন মিনিটের মধ্যে গোল ব্যবধান ৩-১ করেন জোয়াও ফেলিক্স ও রাফায়েল লেয়াও।
পর পর দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও ঘানা খেলার গতি যেন আরও বেড়ে যায়। যেখানে প্রথমার্ধে তাদের খুঁজে পাওয়াই দায় ছিল। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান ৩-২ করে ম্যাচ আবারও জমিয়ে দেয় ঘানা। তার এক মিনিট (৮৭তম) আগেই মাঠ ছাড়েন পর্তুগাল অধিনায়ক রোনালদো।
ব্যবধান কমালেও শেষ রক্ষা হয়নি ঘানার। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে সমাপ্তি হয় ৩-২ গোলের ব্যবধানে। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল।
ম্যাচে ৬২ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখরে রেখে ১১টি শট নিয়েছিল পর্তুগাল। যেখানে টার্গেট ৫টি শটের মধ্যে ৩টিতেই সাফল্য পায় তারা। বিপরীতের ৩৮ শতাংশ বল দখলে রাখা ঘানা নিয়েছিল ৯টি শট। যেখানে টার্গেট ছিল ৩টি।
শেষ দিকে উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটিতে মোট ৩৩ রান ফাউলের জন্য রেফারিকে বাঁশি বাজাতে হয়েছে। যেখানে ১৪ বার পর্তুগাল এবং ১৯ বার ঘানা ফাউল করেছে। যার মধ্যে পর্তুগালের খেলোয়াড়দের ২বার এবং ঘানাকে ৪ বার হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস