গ্রুপ চ্যাম্পিয়ান হতে হলে কেবল জয়ই নয়, ২-০ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। তবে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে ম্যানইউ। একই সাথে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারালেও হতাশ তারা। কারণ, জিতলেও গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করতে হয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপা লিগে প্রথম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচ জেতা সোসিয়েদাদকে ঘরের মাঠে হারতে হলো।
‘ই’ গ্রুপে ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে ২০ বছরে প্রথমবার এই প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোতে খেলতে যাচ্ছে সোসিয়েদাদ। সমান পয়েন্ট পেয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রানার্স-আপ ম্যানইউ। তাই শেষ ষোলোতে উঠতে তাদের প্লে-অফ খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া আট দলের যেকোনো একটির সঙ্গে।
শীর্ষে থাকতে হলে ইউনাইটেডকে জিততে হতো ২ গোলের ব্যবধানে। তাহলেই সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলতে পারতো তারা। কিন্তু দুই নম্বরে থাকায় নকআউট ম্যাচ খেলতে হবে। আয়াক্স, বার্সেলোনা, জুভেন্টাস, বায়ার লেভারকুসেন, এফসি সলজবুর্গ, সেভিয়া, শাখতার দোনেৎস্ক ও স্পোর্তিং সিপির মধ্যে কোনও এক দল হবে তাদের প্রতিপক্ষ।
বৃহঃস্পতিবার দিনগত রাতে সোসিয়াদের ঘরের মাঠে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও এরিক টেন হ্যাগের দল তাদের ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আলেজান্দ্রো গারনাচো উল্লাস করছেন। ক্লাবের জার্সিতে প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি, তাও আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাস থেকে।
গত সপ্তাহে এফসি শেরিফের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলেন গারনাচো। রিয়ালা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ১৭তম মিনিটে নিজের প্রতিভা দেখান। বাঁ দিক থেকে উঠে রোনালদোর পাস ধরে কাছের পোস্ট দিয়ে উঁচু শটে জাল কাঁপান তিনি।
আর্জেন্টাইন এই তরুণ দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতেন। কিন্তু ডান পা দিয়ে শট নিতে পারেননি সময়মতো, বল চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
গারনাচোর দারুণ পারফরম্যান্সের সঙ্গে ডেভিড ডি গিয়া গোলপোস্ট অক্ষত রাখায় ম্যানইউর রক্ষা হয়েছে। স্প্যানিশ গোলকিপার বিরতির আগে এক হাত দিয়ে আনদোনি গোরোসাবেলকে রুখে দেন, তারপর পাবলো মারিনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠান।
দ্বিতীয়ার্ধে নিষ্ক্রিয় ছিল ম্যানইউ। লক্ষ্যে একটিও শট নিতে পারেনি। তাই গোল পার্থক্যে গ্রুপে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে তাদের।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরআইএম