আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচেও দারুণ ফর্ম ধরে রাখল বায়ার্ন মিউনিখ। আরও একবার জাল অক্ষত রেখে তুলে নিল জয়। ইন্টার মিলানকে হারিয়ে শতভাগ সাফল্য নিয়ে নকআউটে পর্বে পা রাখল জার্মান ক্লাবটি। এই জয়ে টানা ছয় ম্যাচে ছয় জয় বাভারিয়ানদের।
মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে ২-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। বাঁজামাঁ পাভার্দ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং।
ছয় ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ‘সি’ গ্রুপের সেরা বায়ার্নের পয়েন্ট ১৮। গ্রুপ রানার্সআপ ইন্টারের পয়েন্ট ১০।
গ্রুপ পর্বে মাত্র দুটি গোল হজম করা বায়ার্ন শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো। সপ্তম মিনিটে নিকোলো বারেল্লার দূর থেকে নেওয়া শট বাঁক খেয়ে লক্ষ্যেই ছিল, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক সভেন উলরিখ।
পরের মিনিটে আবারও দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার বারেল্লা। মুখ বরাবর বল আসতে দেখে হাত উঁচু করে ঠেকান সাদিও মানে। ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, হয়তো পেনাল্টি পেতে যাচ্ছে ইন্টার। কিন্তু ভিএআরে সাইড মনিটরে অনেকটা সময় ধরে দেখে ইন্টারের দাবি নাকোচ করে দেন রেফারি।
২৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লাউতারো মার্টিনেজ। বাঁ দিক থেকে রবিন গোজেন্সের বাড়ানো দারুণ পাস গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পেয়ে যান মার্টিনেজ, দরকার ছিল কেবল একটা টোকার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তার স্লাইডে বল চলে যায় ওপর দিয়ে।
ইন্টার দারুণ সব সুযোগ তৈরি করলেও আক্রমণ বেশি করছিল বায়ার্ন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় তারা। জসুয়া কিমিখের কর্নারে লাফিয়ে নেওয়া হেডে গোলটি করেন বাঁজামাঁ পাভার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হেডে জালে বল পাঠান ইন্টারের মিডফিল্ডার আসলানি। তবে সঙ্গে সঙ্গেই অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৬৩তম মিনিটে ওভারহেড কিকে লক্ষ্যভেদ করেন চুপো-মোটিং। তবে তিনিসহ একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন অফসাইডে।
৭২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জালে বল পাঠান ছন্দে থাকা চুপো মোটিং। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই ও সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও হারান এদিন জেকো। তার কোনাকুনি শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ফেরান উলরিখ।
ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে মোট ১৮ বার বল পাঠাল ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরআইএম