চলতি মৌসুমটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ইউনাইটেডের প্রথম একাদশে সুযোগ পেতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর মাঠে নেমে একটা গোলের জন্য হন্য হয়ে ছুটলেও গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পাচ্ছিলেন না!
ক্যারিয়ারের কতশত অর্জন তার। তর্কাসাপেক্ষ ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারও বটে! অথচ তাকেই কিনা একটা গোলের জন্য কতটা পথ পাড়ি দিতে হলো!
গতকাল রাতের আগ পর্যন্ত চলতি মৌসুমে মাত্র একটি গোল ছিল রোনালদোর, সেটাও কিনা পেনাল্টি থেকে। অবশেষে ওপেন প্লে থেকে গোল পেলেন সিআরসেভেন। এভারটনের বিপক্ষে ম্যানইউর ২-১ গোল ব্যবধানে জেতা ম্যাচে এক গোল এসেছে রোনালদোর পা থেকে।
রোববার (৯ অক্টোবর) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) এভারটনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিনও শুরুর একাদশে ছিলেন না রোনালদো। কিন্তু মার্সিয়ালের চোটে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে তাকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন লিভারপুল বস।
রোনালদো আসার আগেই একবার পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরেছিল ইউনাইটেড। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই ইউনাইটেডের জালে বল পাঠিয়ে দেন এভারটনের আইওবি।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ভরাডুবির পর এ ম্যাচে শুরুতেই গোল খেয়েই যেন জেগে ওঠে ইউনাইটেড ফুটবলার। গোছানো আক্রমণ থেকে ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান আন্তোনি।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। মাঠে নামার ১৪ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পান রোনালদো। ৪৪তম মিনিটে ক্যাসেমিরোর থ্রু ধরে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন তিনি।
এটা শুধু এই মৌসুমে রোনালদোর প্রথম ওপেন প্লে গোল নয়! এই গোলটা তার ক্লাব ক্যারিয়ারের ৭০০তম গোল। যে মাইলফলক এর আগে স্পর্শ করতে পারেনি কোনো ফুটবলার। চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি ৬৯১ গোল নিয়ে তার পিছনেই আছেন।
রেকর্ড গড়া গোল করেই যেন হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন রোনালদো। এরপর বেশ কয়েকবার ক্ষিপ্রতার সঙ্গে আক্রমণে করেছেন তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পাননি তিনি।
এভারটনের বিপক্ষে এই জয়ে আট ম্যাচে পাঁচ জয় ও তিন হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে ম্যানইউ। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২ জয়, চার ড্র ও তিন হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে এভারটন। আর ৯ ম্যাচে আট জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি