সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচকে ফাইনালসের আগে ফাইনাল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন স্পেন কোচ এনরিকে। তবে সেই ফাইনালে মোটেও ভালো খেলেনি তার দল। বরং ম্যাচের সিংহভাগ সময় পিছিয়ে থেকেছে পর্তুগালের আক্রমণের বিপক্ষে! তবে শেষ মুহূর্তে আলভারো মোরাতার একমাত্র গোলে জয় নিয়েই ফাইনালস নিশ্চিত করেছে স্পেন।
অন্যদিকে শুধু হার এড়ালেই হতো পর্তুগালের জন্য। তবে তারা জয়ের জন্য খেলেছে। প্রথম থেকেই একের পর আক্রমণ করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। পুরো ম্যাচে একের পর এক গোল মিস করে সুযোগ নষ্ট করেছে। ফলে নেশন্স লিগের ফাইনালসে ওঠার স্বপ্নও ভেঙে গেছে তাদের।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঘরের মাঠে স্পেনকে আতিথেয়তা দিয়েছিল পর্তুগাল। ম্যাচে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় স্বাগতিকদের আক্রমণের ঝড়ে কোনঠাসা হয়ে ছিল স্পেন।
২৩তম মিনিটে কর্ণার থেকে উড়ে আসা ক্রসে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন পর্তুগিজ ফুটবলার রুবেন দিয়াস। তবে স্প্যানিশ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সে যাত্রায় অক্ষত থাকে স্প্যানিশ দূর্গ।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে আরও একবার স্পেনের ত্রাতা হয়ে আসেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন। পর্তুগিজ দিয়েগো জটার শট কর্ণারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান সিমোন। রোনালদোর গোলার মতো শটও রুখে দেন তিনি।
ম্যাচের ৭০তম মিনিটে প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল পর্তুগাল। গোলরক্ষক সিমোন বাধা পার হলেও শেষ মুহূর্তে কর্ণারের বিনিময়ে গোলপোস্ট অক্ষত রাখেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার দানি কারবাহাল।
পর্তুগালের এতসব গোল মিসের মহড়ার বিপক্ষে গিয়ে ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে সোনার হরিন নামক গোলের দেখা পান স্প্যানিশ ফুটবলার আলভারো মোরাতা।
সতীর্থের পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের গোলার মতো শটে পর্তুগিজ রক্ষণে ফাটল ধরান তিনি। স্পেন এগিয়ে যায় ১-০ গোলের ব্যবধানে।
ছয় ম্যাচে তিন জয়, এক হার ও দুই ড্র-তে স্পেনের পয়েন্ট ১১ পয়েন্ট স্পেনের। গ্রুপ সেরা হয়ে ২০২৩ সালের ফাইনাল লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গী হলো স্পেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি