অনেকটা আড়ালেই থাকেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। কোনো টুর্নামেন্ট জিতলে বা কোনো দলকে বড় ব্যবধানে হারালে তবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা পত্রিকার পাতায় দেখা মেলে তাদের। সেই তাদের নিয়েই গত দুই দিন ধরেই উত্তাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে গণমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ নারী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সানজিদা আক্তার ফাইনালের আগের দিন ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যেখানে ফাইনালে নিজেদের সর্বোচ্চ দেওয়ার প্রত্যয় ও তাদের উপর সবাইকে বিশ্বাস রাখার কথা বলেছিলেন তিনি।
মুহুর্তেই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায় পুরো দেশে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবিনা-মারিয়াদের সমর্থনে একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে। যে সমর্থন পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ৯৭৪ কিঃমিঃ দূরের নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে।
আচমকাই এত এত সমর্থন পেয়ে যেমন খুশিতে মনটা ভরে উঠেছিল, তেমনি সাবিনারা একটু চিন্তায়ও ছিলেন দেশের কোটি মানুষের এই আস্থার প্রতিদান তারা মাঠে দিতে পারবেন তো! ম্যাচ শেষে শিরোপা নিয়েই সাবিনা বললেন, এটা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য।
মনে হচ্ছিল যেকোনো কিছু ঘটতে পারে: সাবিনা
সাবিনা বলেন, “বিশেষ করে দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি, বাংলাদেশের মানুষ নারী ফুটবলের প্রতি যে এত আস্থা নিয়ে বসে আছে...গতকাল (রোববার) পর্যন্তও পোস্ট দেখছিলাম আর মন খারাপ হচ্ছিল যে, আমরা এই মানুষগুলোর হাসি ধরে রাখতে পারব কি না। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মনে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের এ শিরোপাটা প্রাপ্য, এটা তাদের জন্য।”
২০১৬ সাল থেকে মোট পাঁচটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট জিতেছেন সাবিনা। জাতীয় দলের হয়ে এই সাফের ফাইনালে একবার উঠলেও ভারতের কাছে হেরে স্বপ্ন পূরণ হয়নিও তার।
এবার অধিনায়ক সাবিনা সামনে থেকে নেত্বতৃ দিয়েছেন। এক হ্যাটট্রিকসহ আট গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, দল জিতেছে শিরোপা। এর চেয়ে আর কিই বা চাইতে পারতেন তিনি। তাই এই টুর্নামেন্টকেই ক্যারিয়ারের সেরা টুর্নামেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন তিন।
“প্রথমত, চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভালো লাগছে। নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রম মাঠে দিয়ে গেছি। সেটার ফল ফাইনালে পেলাম।এই টুর্নামেন্ট আমার ক্যারিয়ারের সেরা” যোগ করেন সাবিনা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি