দলের সেরা স্ট্রাইকার ও আক্রমণ ভাগের অন্যতম ভরসা পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোভস্কি ক্লাব ছেড়ে গেছেন মৌসুম শুরুর আগেই। তবে লিভারপুল থেকে আসা সাদিও মানে সেই অভাব পূরণ করবেন বলেই ভেবেছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থকরা। কিন্তু লেভানডোস্কির অভাব কেউই পূরণ করতে পারছেন না।
বুন্দেসলিগায় টানা তিন জয়ে শুরুর পর আচমকাই ছন্দপতন হয়েছে ক্লাবটির। টানা তিন হারের পর এক ড্র। দলের এই ব্যর্থতার জন্য আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতাকেই দেখা হচ্ছে আসল কারণ হিসেবে।
লিগে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে অসবার্গের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারের পর স্ট্রাইকারের অভাব অনুভব করার কথা বললেন বায়ার্ন কোচ নাগেলসমান।
বলেন, “আমি যদি না বলি (স্ট্রাইকারের অভাব), তাহলে লোকেরা বলবে যে আমি সমস্যা স্বীকার করছি না। আর আমি যদি হ্যাঁ বলি, তারা বলবে যে আমি লেভানডোভস্কিকে মিস করছি। আজকে আমাদের নয় নম্বর চুপো (এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং) ছিল বেঞ্চে, এছাড়া আমাদের আর স্বীকৃত স্ট্রাইকার নেই।”
হল্যান্ডের রেকর্ড গড়া ম্যাচে জয় পেল ম্যানসিটি
বায়ার্নে অনেক কিছুর পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন ৩৫ বছর বয়সী এই কোচ। সাম্প্রতিক ফলও তার কাছে ভালো কিছু বলে মনে হচ্ছে না।
“আমাদের সাম্প্রতিক নেতিবাচক প্রবণতা ভালো কিছু নয়। অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আমি ভেবে দেখব, এরপর আমরা দেখব যে এখান থেকে পরিস্থিতি কীভাবে এগিয়ে যায়। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে, নিজেকে নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে, সবকিছু সম্পর্কে ভাবতে হবে” যোগ করেন নাগেলসমান।
অন্যদিকে বায়ার্ন ছেড়ে বার্সেলোনা গেলেও গোলের নেশা একটুও কমেনি লেভানডোভস্কির। বার্সেলোনার জার্সিতে একের পর এক গোল করে নতুন দলকে এনে দিচ্ছেন একের পর এক জয়।
বুন্দেসলিগায় সাত ম্যাচে সমান তিনটি করে জয় ও ড্র-এর সাথে এক হারে ১২ পয়েন্ট বায়ার্নের। পয়েন্ট তালিকায় তাদের জায়গা হয়েছে চার নম্বরে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি