লিওনেল মেসির অ্যাসিস্ট থেকে নেইমারের একমাত্র গোলে ব্রেস্টকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে পিএসজি। চলতি মৌসুমে ১০ম গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান এ তারকা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি সেভ করে পিএসজিকে রক্ষা করেছেন গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। নতুবা লিগ ওয়ানে পয়েন্ট খোয়াতে হতো পিএসজির।
এ জয়ে পিএসজি লিগ টেবিলের শীর্ষে ওঠে এসেছে। একই সাথে নতুন কোচ ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ারের অধীনে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখলো দলটি।
লেন্সের তুলনায় পিএসজি দুই পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। শুক্রবার লেন্স ১-০ গোলে ট্রয়েসকে পরাজিত করেছিল। কিন্তু দিনের শেষ ম্যাচে মার্সেই ২-১ গোলে লিলিকে পরাজিত করে পিএসজির সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লেন্সকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে।
টেবিলের শীর্ষে থাকলেও পিএসজির পারফরমেন্স এখনো সন্তুষ্ট করতে পারেনি সমর্থকদের। মাত্র সপ্তাহখানেক আগে এ ব্রেস্টই লিগে ঘরের মাঠে মন্টিপিলিয়ারের কাছে ৭-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল। গাল্টিয়ার হয়তবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচটি থেকে আরও কিছু পরিবর্তন করে মূল দল সাজাতে পারতেন।
এছাড়া বুধবার আবারও ইউরোপীয়ান আসরে ইসরায়েলের মাকাবি হাইফার বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে। ম্যাচ শেষে গাল্টিয়ার ব্রডকাস্টার আমাজন প্রাইমকে বলেছেন, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফেরার পর ম্যাচ খেলা সবসময়ই কঠিন। এ ধরনের ম্যাচে যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক শক্তি ক্ষয় হয় তা কাটিয়ে ওঠা মোটেই সহজ নয়। আমি এটা বলছি না কাল ম্যাচ জয়ে আমরা ছন্দে ছিলাম না। কিন্তু এবারের মৌসুমে আমাদের পারফরমেন্সে এখনো তেমন কোন প্রচেষ্টা চোখে পড়ছে না।”
জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচের থেকে শুধুমাত্র বিশ্রামে ছিলেন নুনো মেনডেস ও অধিনায়ক মারকুইনহোস। তাদের পরিবর্তে মূল একাদশে খেলেছেন হুয়ান বারনাট ও ডানিলো পেরেইরা। দলের কোন তারকাকে বিশ্রামে রাখার আগ্রহ দেখাননি পিএসজি বস। এর আগে অবশ্য লিওনেল মেসিকে বিশ্রামে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আর্জেন্টাইন এ সুপারস্টার নিজেই খেলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গ্রীষ্মকালীন দলবদলে চুক্তিভুক্ত নর্ডি মুকিয়েলে ও কার্লোস সোলার ছিলেন বদলী বেঞ্চে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলী হিসেবে অভিষেক হয়েছে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইজের। প্রথমার্ধে নেইমারকে ফাউলের অপরাধে ব্রেস্টের ডিফেন্ডার ক্রিস্টোফে হেরেলে লাল কার্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
ভিএআর প্রযুক্তি নিশ্চিত করে মেসির বাড়ানো পাসে নেইমার যখন এগিয়ে গিয়েছিলেন তখন তিনি অফসাইড পজিশনে ছিলেন। ফলে হেরেলের লাল কার্ড বাতিল করে খেলার অনুমতি পান। তবে পার্ক ডি প্রিন্সেসে ৩০ মিনিটে আর কোন ভুল করেননি নেইমার। আবারও মেসির পাস থেকে গোলরক্ষক মার্কো বিজোটকে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
এবারের মৌসুমে লিগের সাত ম্যাচে এটি নেইমারের অষ্টম গোল। একই সাথে মেসির এটি সপ্তম অ্যাসিস্ট। বার্সেলোনা ছাড়ার পর নিজে গোল দেওয়ার থেকে সতীর্থদের গোলে সহযোগিতা করাই যেন মেসির মূল দায়িত্বে পরিণত হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিলিয়ান এমবাপের পাশ থেকে মেসির শট বারে না লাগলে তখনই হয়তো ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। এর আগে অফসাইডের কারণে বিরতির আগে এমবাপের একটি গোল বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে নোহা ফাডিগাকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করা অপরাধে প্রিসনেল কিম্পেম্বেও বিপক্ষে পেনাল্টি আদায় করে নেয় ব্রেস্ট। কিন্তু ইসলাম সিলমানির স্পট কিক রুখে দিয়ে পিএসজিকে রক্ষা করেছে ডোনারুমা।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস