চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ গোল ব্যবধানে জয় পেয়েছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে একাই দুই গোল করেছেন। অন্যদিকে জুভেন্টাসের একমাত্র গোলটি করেছেন ওয়েস্টন ম্যাককনি।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ‘এইচ’র প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে ফ্রান্সের ক্লাবটি।
ফল পেতে খুব বেশি দূর যেতে হয়নি পিএসজির। বরং শুরুতেই জোড়া গোল করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন এমবাপে। প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে।
নেইমারকে বলে দিয়ে গুলির বেগে জুভেন্টাসের বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। দারুণ এক চিপ করে দুই জুভেন্টাস ফুটবলারের মাথার উপর দিয়ে এমবাপেকে বল দেন নেইমার। কোনো দেরী না করে বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।
সব পেনাল্টি এক নম্বর প্লেয়ার নিবে, এমন নয়: এমবাপে
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগীতায় এই নিয়ে প্রথম পাঁচ মিনিটে পাঁচ গোল হয়ে গেল এমবাপের। ছয় গোল নিয়ে এই তালিকায় সবার উপরে তারই সতীর্থ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি।
নেইমার-এমবাপের সম্পর্ক নিয়ে বেশ টানপড়েন চলছে বলেই খবর বের হচ্ছে অনেকদিন ধরে। তবে মাঠে কাল দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। দু’জনের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া, বোঝাপড়া দেখে নিশ্চয়ই স্বস্তি পাবেন পিএসজি সমর্থকরা।
গোল হজম করে শোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। গোলের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি হয় ম্যাচের ১৯তম মিনিটে। কিন্তু জুভেন্টাসের আর্কাদিউসের হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।
২২তম মিনিটে আর এক দফা পিছিয়ে পড়ে জুভেন্টাস। ম্যাচে নিজের জোড়া গোল করার পাশাপাশি পিএসজিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন এমবাপে। প্রথমে সতীর্থ আশরাফ হাকিমিকে পাস দিয়ে ঢুকে পড়েন জুভেন্টাসের বক্সে। এরপর হাকিমির থেকে বল ফেরত পেয়ে কোনাকুনি শটে জুভেন্টাসের জালে বল পাঠিয়ে দেন তিনি।
বিরতি থেকে ফেরার পর হ্যাটট্রিকেরদ দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। ৪৭তম মিনিটে মেসির পাস নিয়ে জুভেন্টাসের ডি বক্সে ঢুকলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে পিএসজি। কর্নার থেকে মারা কসতিসের ক্রসে লাফিয়ে দুর্দান্ত হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন জুভেন্টাসের মার্কিন মিডফিল্ডার ম্যাককেনি।
এই গোলেই নিজেদের হারানো ছন্দে ফিরে পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। একের পর এক আক্রমণে পিএসজির রক্ষণভাগকে এলেমেলো করে দেয় তারা। ৫৫তম মিনিটে ভ্লাহোভিচের জোড়ালো হেডে প্রায় ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ফেলছিল তারা, তবে দুর্দান্ত সেভে সেযাত্রায় ফিরিয়েন পিএসজি গোলরক্ষক।
৬৩তম মিনিটে মেসির আরও একটি পাস থেকে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপে। ৮১তম মিনিটে পিএসজিকে আরও একবার বাঁচান গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা।
ম্যাচের শেষদিকে নেইমার ও এমবাপে আরও কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছিলেন, তবে গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেননি। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফরাসি ক্লাবটি।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি