টাইব্রেকারকে জয় করলো ইংল্যান্ড। এর আগে বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছিল ইংলিশরা। তবে মঙ্গলবার কলম্বিয়াকে হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠেছে সাউথগেটের শিষ্যরা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান ইয়েরি মিনা। অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ গোলে জিতে উচ্ছ্বাসে ভাসে ইংল্যান্ড ফুটবল দল।
মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। কিরান ট্রিপিয়ারের ক্রসে কঠিন কোন থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অধিনায়ক কেইন। আক্রমণে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে গোল করার তেমন ভালো সুযোগ আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে দুই দলের খেলোয়াড়দের ধাক্কাধাক্কি আর জড়াজড়ি। কেইনের ওপর পেছন থেকে অযথা চড়াও হয়ে ইংল্যান্ডকে পেনাল্টি উপহার দেন কার্লোস সানচেস, দেখেন হলুদ কার্ড। ৫৭তম মিনিটে ওই স্পটকিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় টুর্নামেন্টে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা কেইন।
পাল্টা আক্রমণে ৮১তম মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিলেন হুয়ান কুয়াদ্রাদো। কিন্তু সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন ইউভেন্তুসের এ মিডফিল্ডার। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আসে সমতা ফেরানো গোল।
মাতেয়াস উরিবের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে কর্নারের বিনিময়ে সেভ করেছিলেন জর্ডান পিকফোর্ড। ওই কর্নার থেকেই লাফিয়ে ওঠা দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার মিনার হেডে বল মাটিতে এক ড্রপ থেয়ে জালে জড়ায়। গোললাইনে থাকা ট্রিপিয়ার বলে মাথা লাগিয়েও ফেরাতে পারেনি। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে কলম্বিয়ার ফালকাও গোল করার পর ভুল করেননি কেইনও। দ্বিতীয় শট জালে জড়ান কুয়াদ্রাদো, জড়ান র্যাশফোর্ডও। লুইস মুরিয়েল তৃতীয় শটে পিকফোর্ডকে বোকা বানান। কিন্তু হেন্ডারসনের শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন অসপিনা।
কলম্বিয়ার উরিবের জোরালো শট লাগে পোস্টে। ট্রিপিয়ার গোল করে ফেরান সমতা। কার্লোস বাক্কার শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। মাথা ঠাণ্ডা রেখে বল জালে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে শেষ আগে তোলেন এরিক ডায়ার।