বহু জল ঘোলা করে ২০২১ সালের জুলাইয়ে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস থেকে পুরোনো ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যোগ দিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০২১-২২ মৌসুমে ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও তাকে নিয়ে দলের মধ্যে রয়েছে নানা বিরোধ। এই কারণেই জানুয়ারিতে তাকে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন কোচ র্যাঙ্কনিক। তবে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন এই কোচ।
ওলে গানার সোলশার কোচ থাকাকালীন জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছিলেন রোনালদো। টানা ব্যর্থতার দায়ে সোলশার চাকরি হারালে দায়িত্ব পান র্যালফ র্যাঙ্কনিক। নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়া এই অন্তবর্তীকালীন কোচ চেয়েছিলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দল ছাড়ুক। তবে ক্লাবকে বোঝাতে না পারায় সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
র্যাঙ্কনিক জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বুঝেছিলেন রোনালদোকে নিয়ে ইউনাইটেডের ড্রেসিং রুমে তৈরি হওয়া অস্বস্তির বিষয়টি। রোনালদো দারুণ ফর্মে থাকলেও তাকে নিয়ে ছিল অস্বস্তি। সেই অস্বস্তি মেটাতেই রোনালদোকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন র্যাঙ্কনিক।
ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বোঝাতে না পারায় তাকে বিক্রি করতে পারেননি র্যাঙ্কনিক। পাশাপাশি বিষয়টি নিজেও বুঝতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। ফলে তাকে বিক্রি করতে পারেননি তিনি।
দায়িত্ব ছাড়ার প্রায় দুই মাস পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন র্যাঙ্কনিক। দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানান এই কোচ। ইউনাইটেডের দায়িত্ব ছেড়ে এখন অস্ট্রিয়া দলকে কোচিং করাচ্ছেন।
র্যাঙ্কনিক দায়িত্ব ছাড়ার পর অবশ্য নিজেই ক্লাব ছাড়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন রোনালদো। তাকে নিতে কোনো ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ না করায় শেষ পর্যন্ত তার ক্লাব ছাড়া হয়নি। ইউনাইটেডে থাকলেও সুযোগ পাচ্ছেন না নিয়মিত একাদশে। দল-বদল মৌসুম প্রায় শেষের দিকে থাকলেও এখনো দল ছাড়তে মরিয়া আছেন বলে জানায় বিভিন্ন ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর