রাশিয়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচের বিদায় নিলো আরেক ফুটবল তারকা। এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। অর্থাৎ প্রথম দিনেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চত করলো ফ্রান্স ও উরুগুয়ে।
ফিশৎ স্টেডিয়ামে শনিবার দারুণ দলীয় বোঝাপড়ায় অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে মাঠের অন্য প্রান্তে সুয়ারেসকে পাঠান কাভানি। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে হেড করে জালে পাঠান পিএসজির এ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে গোলের তেমন কোন ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পর্তুগাল। রোনালদোকে ডি বক্সে বল পেতে দেননি দিয়েগো গদিন, হোসে মারিয়া হিমেনেসরা। আতলেতিকো মাদ্রিদের দুই ডিফেন্ডার অকার্যকর করে রাখেন পর্তুগিজ অধিনায়ককে। জমাট রক্ষণ ভেঙে ফের্নান্দো মুসলেরাকে তেমন কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের গতি কিছুটা বাড়ায় পর্তুগাল। ৫৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় তারা। ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে চমৎকার ক্রস করেন রাফায়েল গেরেইরো। অরক্ষিত পেপে দারুণ হেডে সারেন বাকিটা। এবারের আসর তো বটেই চলতি বছরে প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের জালে গেল বল।
খানিক আগের নায়ক বেসিকতাস ডিফেন্ডার পেপে খলনায়ক হয়ে যান ৬২তম মিনিটে। তার হেড থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো বেন্তানকুর বাড়ান কাভানিকে। পিএজসি ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন। আবার এগিয়ে যায় উরুগুয়ে।
৭০তম মিনিটে তালগোল পাকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরা। সুযোগ এসে যায় বের্নার্দো সিলভার সামনে। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার অনেক ওপর দিয়ে মারায় গোল বঞ্চিত হয়। শেষ দিকে মেজাজ হারিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত জিতলেও কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা হত না তার।
নকআউট পর্বের এ লড়াইয়ের তিনজন খেলোয়াড়ের ওপর মূলত ভাগ্য নির্ভর করছে তা অনুমিতই ছিল। পর্তুগালের রোনালদো বনাম উরুগুয়ের কাভানি-সুয়ারেজ জুটি। প্রথমার্ধে উরুগুয়ের বক্সে রোনালদোকে বল ছুঁতে দেয়নি গোডিন-জিমিনেজ-ক্যাকেরেসদের রক্ষণ।
বিরতির পরও শেষ দিকে কয়েকবার উরুগুয়ের বক্সে ঢুকেও গোল আদায় করতে পারেননি রোনালদো। ৩৩ বছর বয়সী এ তারকার সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার মেসির গত খালি হাতেই ফিরতে হলো তাকেও।