লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষ কবে হেরেছিল চেলসি! জানতে হলে ফিরে যেতে হবে দেড় যুগের বেশি সময় আগে। ২০০২ সালে সর্বশেষ লিডসের বিপক্ষে হার দেখেছিল লন্ডনের ক্লাবটি। গোলরক্ষক এডুয়া মেন্ডির শিশুতোষ ভুলে ফিরে এলো চেলসির সেই দুঃস্মৃতি।
মেন্ডির একটা ভুল যেন লিডসকে ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। যে কারণে এরপর চেলসির জালে আরও দুইবার বল পাঠিয়েছে তারা। নির্ধারিত সময় শেষে মাঠ ছেড়েছে চেলসিকে ৩-০ গোল ব্যবধানে উড়িয়ে।
আগের ম্যাচে টটেনহ্যামের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে ড্র করতে হয়েছিল চেলসিকে। ফলে রোববার (২১ আগস্ট) লিডসের বিপক্ষে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ছিল তারা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই লিডসের জালে বল পাঠান চেলসির স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং। যদিও রেফারির অফসাইডের বাঁশিতে সে যাত্রায় গোল বঞ্চিত থাকতে হয় চেলসিকে।
লেভানডোভস্কির প্রথম গোলের রাতে জয়ে ফিরলো বার্সেলোনা
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে সতীর্থের কাছ থেকে ব্যাক পাস পেয়ে সেটা আবার ফেরত দিতে একটু বেশি সময় নিয়ে ফেলেছিলেন চেলসি গোলরক্ষক মেন্ডি। এর মধ্যে সুযোগ বুঝে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে মেন্ডিকে ট্যাকল করল বল নিয়ন্ত্রণে নেন চেলসির মার্কিন ফুটবলার লিডসের ব্রেন্ডেন অ্যারনসন।
এরপর আর ভুল করেননি! ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে লিডসকে এগিয়ে দেন ১-০ গোলে। এই গোলটার পরই যেন উড়তে শুরু করেন লিডসের ফুটবলাররা।
এতটাই ওড়া শুরু করলেন যে তিন মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল করে ব্যবধান করে দ্বিগুন করে ফেলেন তারা! ৩৬তম মিনিটে সতীর্থের দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত হেডে চেলসি শিবিরকে স্তব্ধ করে দেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রদ্রিগো।
প্রথমার্ধ জুড়ে চেলসির উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে লিডসের ফুটবলাররা। তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পেরে দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চেলসি।
বিরতি থেকে ফিরেও আহামরী তেমন কিছুই করতে পারেনি চেলসির ফুটবলাররা। উল্টো ৬৯তম মিনিটে আরও এক গোল হজম করে বসে স্টাম্ফবোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি।
চেলসির বক্সে রদ্রিগোর উদ্দেশ্য বল বাড়িয়েছিলেন লিডসের জেমস। কিন্তু রদ্রিগো বল নিয়ন্ত্রণে না নিতে পারলে চলে যায় জ্যাক হ্যারিসনের কাছে। নিখুঁত দক্ষতায় চেলসির কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন তিনি।
ম্যাচের বাকি সময়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও লিডসের জালের দেখা পায়নি চেলসি। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
???? @trippier2 does it again! pic.twitter.com/g8HqPuIyOU
— Newcastle United FC (@NUFC) August 21, 2022
চেলসির কোচ হিসেবে এটা ৬০তম ম্যাচ ছিল টমাস টুখেলের। প্রথম ৩০ ম্যাচে ১৭ গোল হজম করা টুখেল শেষ ৩০ ম্যাচে হজম করেছেন ৩৪ গোল।
এই হারে চলতি ইপিএলে তিন ম্যাচে সমান একটা কর জয়, ড্র ও পরাজয়ে চেলসির পয়েন্ট চার, পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ১২ নম্বরে।
অন্যদিকে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্র-তে সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে নিউক্যাসল। সমান ম্যাচে শতভাগ জয় নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি