ড্র করলেই হতো, সেখানে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করলো ব্রাজিল। একই সঙ্গে তিন ম্যাচে একটিতে ড্র ও দুটিতে জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের সেরা হয়েছে নেইমার বাহিনী।
রাশিয়া বিশ্বকাপ যত এগোচ্ছে তত নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে ব্রাজিল। আগের ম্যাচে যোগ করা সময়ের গোলে জেতা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার জিতল অনায়াসে। পাওলিনিয়োর গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় তিতের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিয়াগো সিলভা। তবে নেইমার বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরও বাড়ত।
মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে শুরুতেই বড় একটা ধাক্কা খায় ব্রাজিল। চোট পেয়ে ১০ মিনিটে মাঠ ছাড়েন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মার্সেলো। তার জায়গায় প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ফিলিপে লুইস। ফলে রক্ষণ গুছিয়ে নিতে একটু সময় নেয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ২৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে ডি-বক্স থেকে পিএসজি ফরোয়ার্ডের শট হাত বাড়িয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ভ্লাদিমির স্তয়কোভিচ। ৩৬ মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন পাওলিনিয়ো। মাঝমাঠ থেকে বার্সেলোনা সতীর্থ ফিলিপে কৌতিনিয়োর বাড়ানো বল প্রথম স্পর্শেই আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান এ মিডফিল্ডার।
৫৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পান নেইমার। তবে নেইমারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্তয়কোভিচ। পরের কয়েক মিনিট ব্রাজিলের রক্ষণকে ভীষণ চাপে রাখে সার্বিয়া।
খেলার ৬৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিলভা। পিএসজি সতীর্থ নেইমারের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এ ডিফেন্ডার। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া সার্বিয়াকে ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগ দেয়নি ব্রাজিল। মাঝমাঠ দৃঢ় করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে তারা।
শেষের দিকে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল। ৮৬তম মিনিটে সার্বিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগার পর বল পেয়ে যান নেইমার। গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে তুলে দিয়েছিলেন এ তারকা ফরোয়ার্ড। তবে হাত বাড়িয়ে বলের নাগাল পেয়ে যান স্তয়কোভিচ।
শেষ দিকে যোগ করা সময়েও আর কেউ গোলের দেখা পায়নি। এ নিয়ে টানা ত্রয়োদশবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করলো ব্রাজিল।