করিম বেনজেমার আরও একটু দুর্দান্ত মাইলফলক স্পর্শের রাতে আরও একটি শিরোপা জিতলো রিয়াল মাদ্রিদ। জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টেকে ২-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। যেটা ২০২২ সালে তাদের চতুর্থ শিরোপা।
ম্যাচ শুরুর আগে রিয়াল মাদ্রিদের একাদশ দেখে বোধহয় একটু খটকাই খেয়েছিলেন রিয়াল সমর্থকরা। দলবদলে বার্নাব্যূতে আসা একজনকেও একাদশে রাখেননি রিয়াল বস কার্লো আনচোলেত্তি। পুরোনোদের উপরই ভরসা রেখেছিলেন এই ইতালিয়ান কোচ। পুরোনো সৈনিকরাও শিরোপা জিতেই তাদের সেনাপতির বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছেন।
বুধবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ২০২১-২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউরোপা লিগ জয়ী আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট মুখোমুখি হয়েছিল উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে।
ম্যাচের পুরো সময়েই দুই দলই আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ করেছে, তবে গোলটা পেয়েছে শুধু রিয়াল মাদ্রিদ। ফ্রাঙ্কফুর্টের গোল না পাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলেন রিয়ালের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
বয়স বলে কিছু নেই: করিম বেনজেমা
১৩ থেকে ১৭ মিনিট, এইটুকু সময়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের দুই দফায় আক্রমণ প্রতিহত করেছেন কোর্তোয়া। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের মতো উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষে সামনে চীনের প্রাচীয় হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে লিভারপুলের মতো সুপার কাপের ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টও সেই কোর্তোয়া দুর্গ ভেদ করতে পারেনি একবারও!
৩৭তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল পায় রিয়াল মাদ্রিদ। উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে প্রথম অস্ট্রিয়ান হিসেবে গোল করেন রিয়ালের ডেভিড আলাবা। কর্ণার থেকে কাসেমিরোর হেড থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গেলে ভুল না করে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের ধার বজায় রেখেছিল দুই দল। ৬১ মিনিটে ফ্রাঙ্কফুর্টের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলে কাসেমিরো। কিন্তু ভাগ্য বিপক্ষে থাকায় ক্রসবার লেগে ফিরে আসে!।
চার মিনিটের ব্যবধানে রিয়ালের লিড দ্বিগুন করেন অধিনায়ক করিম বেনজেমা। রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজেমা। রিয়াল এগিয়ে যা ২-০ গোলের ব্যবধানে।
এই গোলেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বেনজেমা। রিয়ালের জার্সিতে রাউল গঞ্জালেসের ৩২৩ গোল টপকে ৩২৪ গোল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন বেনজেমা। রিয়ালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৪৫০)।
ম্যাচের বাকি সময়ে একাধিক আক্রমণ করলেও রিয়ালের জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি ফ্রাঙ্কফুর্ট। শেষ পর্যন্ত কোনো দল আর গোল না করতে পারলে ২-০ গোলের জয়ে সুপার কাপ জেতার আনন্দে মাতে লস ব্লাঙ্কোসরা।
৬২ বছর পর ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৬০ সালে সর্বশেষ ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে খেলেছিল রিয়াল, যে ম্যাচে ৭-৩ গোলে জিতেছিল তাঁরা। একাই চার গোল করেছিলেন রিয়াল কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাস। এছাড়া হ্যাটট্রিক করেছিলেন আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার আলফ্রেড ডি স্টেফানো।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি