প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক রাশিয়া। আজ ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা, তবে তার মাঝেই ছিল গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকার লড়াই। সেটি আর হলো না স্বাগতিকদের। উড়তে থাকা রাশিয়াকে মাটিতে নামিয়ে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে উরুগুয়ে।
গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে সৌদি আরব ও মিসরের বিপক্ষে ৮ গোল করেছিল রাশিয়া। সেই রাশিয়া আজ দেখা মেলিনি। স্বাগতিকদের সেই ছন্দে লাগাম টেনে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে উরুগুয়ে।
ম্যাচের ৯ মিনিটে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তানকুরকে বক্সের মাথায় ‘ডি’র মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন রাশিয়ার ইউরি গাজিনিস্কি। ফ্রিকিক পায় উরুগুয়ে। ২০ গজ দূর থেকে বেশ চালাকি করে শট নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। শট নেওয়ার আগেই এডিনসন কাভানি ‘মানবদেয়াল’-এর পাশ থেকে সরে যাওয়ায় ফাঁকা পথটুকু দিয়ে বল জালে পাঠাতে কোনো সমস্যা হয়নি সুয়ারেজের। বিশ্বকাপে এটা তার সপ্তম গোল।
১০ মিনিটে উরুগুয়ে এগিয়ে গেলেও রাশিয়ান আক্রমণের ধার কমেনি। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক খেলেছে। তবে কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়েছিল তাদের মাঝমাঠ। মাঝমাঠ থেকে খেলাটা গুছিয়ে বেশ কয়েকবার হানা দিয়েছে রাশিয়ার রক্ষণভাগে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে দ্বিতীয় গোল।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেনি রাশিয়ান রক্ষণ। সেই সুযোগে বক্সের বাইরে থেকে উরুগুয়ে মিডফিল্ডার লাক্সাল্টের শট রাশিয়ার ফরোয়ার্ড ডেনিস চেরিশভের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
চেরিশভের এ ভুলটুকু রাশিয়ার কোচ স্তানিস্লাভ চেরচেশভ হয়তো ক্ষমা করতে পারেননি। রাশিয়ার হয়ে ২ ম্যাচে ৩ গোল করা এ ফরোয়ার্ডকে তিনি ৩৮ মিনিটেই তুলে নেন। এতে রাশিয়ান আক্রমণের ধার দ্বিতীয়ার্ধেও কমেছে। বরং দ্বিতীয়ার্ধে কাভানি-সুয়ারেজরা বেশকিছু গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। তবে ৯০ মিনিটে রাশিয়ান বক্সে জটলার মধ্যে থেকে ঠিকই গোল আদায় করে নেন কাভানি।