১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে বসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর। সময়ের পরিক্রমায় গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাতি পাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবল শতবর্ষে পদার্পন করবে ২০৩০ সালে। এই আসর আয়োজন করতে যৌথভাবে আবেদন করেছে আর্জেন্টনা, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ে।
১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের স্বাদ পাওয়া উরুগুয়ের চাওয়া বিশ্বকাপের শততম বছরের আয়োজনটি হোক ল্যাতিন আমেরিকাতে হোক। বিশ্বকাপকে দক্ষিণ আমেরিকায় ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে তারা বলছেন, ঘরে ফিরছে বিশ্বকাপ।
২০২৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক দেখবে ফুটবল বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে বসবে এই আসর। তবে ২০৩০ সালে ল্যাতিন আমেরিকার দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হলে প্রথমবারের মতো দেখা মিলবে পুরো মহাদেশজুড়ে বিশ্বকাপের আয়োজন।
বিষয়টি স্বপ্নের মতো মনে করছেন ল্যাতিন আমেরিকা ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ন্তা সংস্থা কনমেবলের সভাপতি অ্যালেজান্দ্রো ডোমিনগুয়েজ। তিনি বলেন, “এটা স্বপ্নের মতো বিষয়। এখানে হয়তো আরও অনেকবার বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। তবে বিশ্বকাপের শতবর্ষ একবারই পার হয়। তাই এখানে আয়োজিত হোক, এটাই আমাদের চাওয়া।”
তবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, চিলি ও প্যারাগুয়ের জন্য এই লড়াই মোটেও সহজ হবে না। কারণ একই বিশ্বকাপ আয়োজনে যৌথভাবে আগ্রহ প্রকাশ করবে পর্তুগাল ও স্পেন।
এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াও আয়োজক হওয়ার দৌড়ে নাম লেখাতে চেয়েছিল যুক্তরাজ্য (ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও নর্থ আয়ারল্যান্ড) ও আয়ারল্যান্ড। তবে তারা ২০৩০ বিশ্বকাপ ফুটবল নয়, বরং ২০২৮ ইউরো আয়োজক হতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
ল্যাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী চার দেশের মধ্যে শুধুমাত্র প্যারাগুয়েই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ আয়োজন করেনি। অভিষেক আসরের পর আর কোনো বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বাদ পায়নি উরুগুয়ে। ১৯৬২ ও ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল যথাক্রমে চিলি ও আর্জেন্টিনা।
আর ইউরোপ থেকে আসা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। পর্তুগাল এখনো আয়োজন করেনি গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।
বিভিন্ন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে ফিফা ২০২৪ সালে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করবে। এর আগেই আয়োজক দেশগুলোকে নিতে হবে পূর্নাঙ্গ প্রস্তুতি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর