চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপের পুরো টুর্নামেন্টে যে কয়টি পেনাল্টি দেয়া হয়েছিল সেই সংখ্যা ইতোমধ্যেই রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ২৮টি ম্যাচে ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে মেক্সিকোর কার্লোস ভেলার নেয়া পেনাল্টির শটটি ছিল এ পর্যন্ত রাশিয়ায় ১৪তম স্পট কিক। অর্থাৎ প্রতি দুই ম্যাচে একটি পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছেন রেফারিরা। এর মধ্যে ১১টিতেই রেফারিরা ছিলেন সফল।
তিউনিশিয়ার বিপক্ষে বেলজিয়ামের ৫-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে প্রথম গোলটিই এসেছে এডেন হ্যাজার্ডের স্পট কিক থেকে। যদিও ম্যাচ পরিচালনাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ৪১ বছর বয়সী রেফারি জায়ার মারুফো প্রথমে ফাউলটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিও এসিসটেন্ট রেফারি পর্যবেক্ষণ করে জানায় ফাউলটি ডি বক্সের ভিতরে হয়েছে।
চার বছর আগে ব্রাজিলে পুরো টুর্নামেন্টে পেনাল্টি হয়েছিল মাত্র ১৩টি। ২০০২ সালে ১৮টি পেনাল্টি এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ পেনাল্টির রেকর্ড গড়েছে। তবে রাশিয়ায় যে হারে প্রতি ম্যাচেই দলগুলো পেনাল্টি উপহার পাচ্ছে তাতে এ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত ব্যবহৃত ভিডিও এসিসটেন্ট রেফারি প্রযুক্তি অনেকাংশেই সহায়তা করছে। এ পর্যন্ত ভিডিও রিভিউর মাধ্যমে ৬টি পেনাল্টির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেফারির সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করছে ভিএআর। শুক্রবার কোস্টা রিকার সাথে নেইমারের বিপক্ষে একটি ফাউলের বিপরীতে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর তা বাতিল করে দেয়।
এখন পর্যন্ত ভিএআর’র সাফল্য নিয়ে দারুন সন্তুষ্ট ফিফা। ফিফা মিডিয়া ম্যানেজার গিওভান্নি মার্তি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইতোমধ্যেই বিষয়টি ফুটবল কমিউনিটির প্রশংসা কুড়িয়েছে।