২০২৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২৩তম আসর। এই টুর্নামেন্ট থেকেই দল সংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে ৪৮ হবে। এর সুবিধা পেতে যাচ্ছে এশিয়ার দলগুলো। বর্তমানে ফুটবল বিশ্বকাপে এশিয়ার সরাসরি ছয় দল খেলার সুযোগ পেলেও ২০২৬ থেকে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৮ দলে।
সোমবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দল সংখ্যা বাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বিশ্বকাপে সরাসরি আট দল খেলার সুযোগ পেলেও এশিয়া থেকে আরো একটি দল বিশ্বকাপে খেলতে পারবে। তবে তাদেরকে খেলতে হবে আন্তমহাদেশীয় প্লে অফ টুর্নামেন্ট।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ২৫ দল সরাসরি এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। র্যাঙ্কিংয়ের ২৬ থেকে ৪৭তম স্থানে থাকা দলগুলোকে খেলতে হবে প্রথম রাউন্ড।
প্রথম রাউন্ডে থাকা ২২ দল থেকে ১১ দল উঠবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। সেখানে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২৫ দলের সাথে যুক্ত হবে তারা। দ্বিতীয় রাউন্ডে থাকা ৩৬ দলকে নয় গ্রুপে ভাগ করে খেলা হবে হোম অ্যান্ড আওয়ে ভিত্তিতে।
নয় গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উঠবে তৃতীয় রাউন্ডে। এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে উঠা ১৮ দলকে তিন গ্রুপে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্বের মূল অংশ। এই তিন গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ দলকে খেলতে হবে প্লে অফ।
প্লে অফে ছয় দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্লে অফের দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। আর বাকি প্লে অফে নিজ গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়া দলগুলোর জন্য মন খারাপের কিছু নয়। নিজেদের মধ্যে আরও একটি প্লে অফ খেলে তারা প্রস্তুত হবে বিশ্বকাপ খেলার জন্য। অবশ্য এর আগে তাদেরকে পার হতে হবে আন্তমহাদেশীয় প্লে অফ বাঁধা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর