প্রায় ১২ মাস আগে প্রস্তত করা ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার জরিমানার তালিকা দেখলে যে কারো চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। লাল কার্ড দেখা থেকে শুরু করে অনুশীলনে দেরী করা, ভুল করলে পদে পদে জরিমানা গুনতে হবে ভিলার ফুটবলারদের।
কোচ হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কড়া হেডমাস্টারের মতো ইমেজ তৈরি করেছেন ভিলার কোচ সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার স্টিভেন জেরার্ড। ভিলাতে এসেও তার সেই কড়া নিয়মানুবর্তিতা ধরে রেখেছেন তিনি।
তবে জরিমানার তালিকায় কিছু যেমন মজার, তেমনি কিছুর জরিমানার পরিমাণ দেখলে মাথা ঘুরে যেতে পারে যে কারো।
তালিকায় দেখা যায়, যদি ম্যাচ শেষে কেউ খালি পায়ে গোসল করে তাহলে তাকে গুনতে হবে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক হাজার ছয়শ টাকা। এছাড়া যদি কেউ তামাক খেয়ে নির্ধারিত স্থানে না ফেলেন সেক্ষত্রে তার জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে দুইশ পাউন্ড।
ভারতের বিপক্ষে গোল করে ইচ্ছা পূরণ হয়েছে নোভার
অনুশীলনে আসতে দেরী হলে জরিমানা নির্ধারণ হবে সময়ের হিসেবে। সেক্ষেত্রে প্রতি সেকেন্ডে গুনতে হবে ২০০ পাউন্ড বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাতান্ন হাজার টাকা।
আর ম্যাচের দিন দেরী হলে তো পকেটই খালি হয়ে যেতে পারে। কেননা, ম্যাচে লেট করলে তাকে গুনতে হবে বাংলাদেশি টাকায় এক লক্ষ তের হাজার টাকা।
যদি কেউ ইনজুরিতে পড়েন, বাঁ অসুস্থতা বোধ করেন তাহলে তাকে সকাল দশটার মধ্যে জানাতে হবে। না জানালে গুনতে হবে দুইশ পাউন্ড। এছাড়া যদি অনুশীলন শেষে কোনো সরঞ্জাম ফেলে রেখে যায় তাইলে প্রতি সরঞ্জামের জন্য জরিমানা দিতে হবে ১০০ পাউন্ড।
নিজের জন্মদিনে কেক আনতে ভুলে গেলেও জরিমানা দিতে হবে ভিলার খেলোয়াড়দের। সেক্ষেত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ পাউন্ড। নিজের গাড়ি জায়গামতো পার্কিং না করলে ১০০ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হবে।
এমনকি খাবার টেবিলে প্লেট বা গ্লাস ভুলে রেখে আসলেও জরিমান দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি জিনিসের জন্য ১০০ পাউন্ড জরিমান গুনতে হবে খেলোয়াড়দের।
শুধু এগুলো নয়, রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখলেও জরিমানা দিতে হবে ভিলার খেলোয়াড়দের। সেক্ষেত্রে তাকে গুনতে হবে ২০০ পাউন্ড।
লাল কার্ড দেখলে সরাসরি আর্থিক জরিমানা দিতে হবে না। তবে সেক্ষেত্রে পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো দলকে নৈশভোজ করাতে হবে ওই খেলোয়াড়কে।
স্পোর্টসমেইল১৪/এসকেডি