বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধি ভ্যাকসিন না নেওয়া খেলোয়াড়দের সাথে চুক্তি করতে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন চেলসি বস থমাস টাচেল। তিনি বলেন, অবশ্যই, বিষয়টি গুরুত্বপর্ণ। কারণ, এখনো অনেক খেলোয়াড় ভ্যাকসিন নেয়নি।
ভ্যাকসিন জটিলতায় চেলসির প্রাক-মৌসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরে টাচেল দলে পাচ্ছেন না দুই তারকা মিডফিল্ডার এন’গোলো কন্টে ও রুবেন লফতাস-চিককে। লস এ্যাঞ্জেলসে ইতোমধ্যেই চেলসির সপ্তাহখানেকের অনুশীলনে এ দুজন অনুপস্থিত রয়েছেন। লাস ভেগাসে প্রাক-মৌসুম প্রথম ম্যাচে ক্লাব আমেরিকার বিপক্ষে উভয়ের মাঠে নামা হচ্ছে না।
বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রিশিয়ার লিগকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে চলে এসেছে। লিগের প্রায় সব ক্লাবই একই সমস্যায় ভুগছে। সে কারণেই ট্রান্সফার মার্কেটে ভ্যাকসিন নেওয়া খেলোয়াদের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি প্রসঙ্গে টাচেল বলেছেন, ‘অবশ্যই, বিষয়টি গুরুত্বপর্ণ। এখনো অনেক খেলোয়াড়ই ভ্যাকসিন নেয়নি। এ মুহূর্তে বিষয়টি প্রতিদিনের জীবনের একটি অংশ হয়ে গেছে।’
এবারের গ্রীষ্মে চেলসির দ্বিতীয় চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে নাপোলি থেকে দলে যোগ দেওয়া কালিদু কুলিবালি লাস ভেগাসে সতীর্থদের সাথে যোগ দিয়েছেন। সেন্ট্রাল এ ডিফেন্ডারকে চার বছরের চুক্তিতে নাপোলি থেকে ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দলে ভিড়িয়ে চেলসি।
এ প্রসঙ্গে টাচেল বলেছেন, ‘চুক্তিটি নিয়ে আমি দারুণ খুশি। আমাদের দলে বেশ কিছু শক্তিশালী খেলোয়াড় রয়েছেন যাদের অভিজ্ঞতাও অনেক। কুলিবালি এ দলকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।’
কুলিবালি চেলসিতে যোগ দেওয়ার আগে ঘনিষ্ট বন্ধু এডুয়ার্ডো মেন্ডি ও জর্জিনহোর সাথে আলাপ করেছিলেন। যে কারণে তার চেলসিকে বেছে নেওয়া সহজ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
টাচেল আরও জানিয়েছেন, এন’গোলো কান্টে ও রুবেনের ভ্যাকসি নেবার বিষয়টি সম্পূর্ণ তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত, এ ব্যপারে তাদের জোড় করা যাবে না। কিন্তু এ মুহূর্তে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক একটি সিদ্ধান্ত। প্রত্যেকের অবশ্যই আইন মানতে হবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবহিত, সব শর্ত পূরণ করেই তাদের দলে যোগ দিতে হবে।
এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডে অনুর্ধ্ব-২৩ দলের সাথে তারা অনুশীলন করবে। কিন্তু এই দলটিও কিছুদিন পর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবে, তখন তাদেরকে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে অনুশীলন করতে হবে। তবে এরপরও কান্টের ব্যপারে টাচেল আশাবাদী।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি মৌসুমের শুরু থেকেই সে নিজেকে ফিট প্রমাণ করবে। আমি মনে করি না পুরো দলের সাথে মানিয়ে নিতে তার খুব একটা বেশি সময় লাগবে।’
কান্টে ও জর্জিনহো চেলসির সাথে চুক্তির শেষ বছরে রয়েছেন। ফ্রি ট্রান্সফার সুবিধায় এবার দল ছেড়ে চলে গেছেন দুই ডিফেন্ডার এন্টোনিও রুডিগার ও আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন। কান্টে ও জর্জিনহোর বেলায় এমন হবে না বলেই আশাবাদী টাচেল।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস