বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত প্রীতি ম্যাচটি বাতিল করেছে আর্জেন্টিনা। আগামী শনিবার ইসরাইলের জেরুজালেমে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল।
আর্জেন্টিনার ব্রাজিলীয় সুপার স্টার লিওনেল মেসির প্রতি হুমকির কারণে ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি দূতাবাস। মেসিকে জরেুজালেমের ম্যাচে অংশ না নেয়ার জন্য ফিলিস্তিনি ফুটবল কর্তৃপক্ষের বিক্ষোভের পর ম্যাচের বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে আর্জেন্টিনা দূতাবাস। মেসিকে হুমকি এবং উত্যক্ত করার কারণে এটি ঘটেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে তারা। স্থানীয় গণমাধ্যম অবশ্য আগে থেকেই বলেছিল রাশিয়াগামী আর্জেন্টাইন দলের প্রস্তুতিমুলক ওই শেষ প্রীতি ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হতে পারে।
ম্যাচ বাতিলের ঘোষণার আগে ওয়াশিংটনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সময় সাইডলাইনে বসে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ ফাওরিয়ে অবশ্য বলেছিলেন, তার দেশের খেলোয়াড়রা ইসরাইল সফরে খুব একটা আগ্রহী নয়। আমি যতটুকু জানি, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ওই ম্যাচটিতে অংশ নিতে আগ্রহী নয়।
আর্জেন্টাইন কোচ জর্জ সাম্পাওলি গত সপ্তাহে ইসলাইল সফরের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এর পরিবর্তে বার্সেলোনায় ওই ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব করেছিলেন, যেখানে বিশ্বকাপগামী দলটি বর্তমানে অনুশীলনে রয়েছে। সাম্পাওলি বলেন, ‘আমার মতে ম্যাচটি বার্সেলোনায় হলে বেশি ভালো হতো।’
গত রোববার ফিলিস্তিনি ফুটবল প্রধান জিবরিল রাজুব জেরুজালেমের ওই ম্যাচে অংশ না নেয়ার জন্য মেসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারপরও যদি তিনি অংশ নেন, তাহলে তার নামের জার্সি পুড়িয়ে দেয়া হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ম্যাচটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। জেরুজালেমে ম্যাচটি আয়োজনের মাধ্যমে ইসরাইল সরকার রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করতে চায়।’
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি বাতিল হবার ঘটনাকে অভিনন্দিত করে ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন। বলা হয়, ক্রীড়াঙ্গন রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের হাতিয়ার হতে পারে না।’ মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়রা ইসরাইলের ওই ম্যাচে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের প্রশংসা করা হয় ফিলিস্তিনি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।