প্রথম ম্যাচে বড় জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার মেয়েদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করলো বাংলাদেশ। ৯০ মিনিটের ম্যাচে একাধিক আক্রমণ করেও এদিন মালয়েশিয়ার জালে বল পাঠাতে পারেনি সাবিনা-আখিরা। তবে প্রথমে ম্যাচে ৬-০ গোলের জয়ে দেশের মাটিতে নারীদের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজের ট্রফি দেশেই থেকে গেল।
রোববার (২৬ জুন) রাজধানীর কমলাপুরে অবস্থিত শহীদ বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৬১ ধাপিয়ে এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই রক্ষণ অক্ষত রাখলো ছোটনের দল।
প্রথম ম্যাচে একগাদা গোল হজম করার পর এদিন ঘুরে দড়িয়েছে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে এই ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলেছে সফরকারীরা। তবে তার মধ্যেও বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েছিল সাবিনারা। ১৮টি কর্ণার পেয়েও এদিন একটাও গোল করতে পারেনি তারা।
চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে জটলার মধ্যে গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ফিনিশিং দুর্বলতায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি সাবিনা-মারিয়ারা।
মালয়েশিয়ার মেয়েদের জালে বাংলাদেশের হাফ ডজন গোল
আগের ম্যাচে মালয়েশিয়াকে যে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে তাতে এই ম্যাচে ড্র করাও সফরকারীদের জন্য বড় অর্জন। ম্যাচ শেষে মালয়েশিয়ার ফুটবলারদের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের গোলবঞ্চিত রাখতে পেরে তারা কতটা খুশি!
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে আজ বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক নুরুল আজুরিন। পুরো ম্যাচে সাবিনা-মারিয়াদের একের পর এক আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আগের ম্যাচ থেকে এদিন বেশ ভালো খেলেছেন মালয়েশিয়ার মেয়েরা। রক্ষন জমাট রেখে বাংলাদেশকে আটকে রেখেছেন পুরোটা সময়।
প্রথম ম্যাচে রক্ষণের ভুলে বড় ব্যবধানে হারার পর এদিন দারুণ খেলেছেন সফরকারীদের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। বাংলাদেশের শক্তি বুঝে আজ একটু বেশিই সতর্ক ছিল মালয়েশিয়ার রক্ষণভাগ।
চার জন ডিফেন্ডারের সাথে একজন হোল্ডিং মিডফিল্ডার মিলে বাংলাদেশে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের এদিন আটকে রেখেছে পুরো সময়। দলীয় ভাবে যখন হচ্ছিল না, তখন উপায় থাকে দুটো, একক প্রচেষ্টা ও সেটপিস থেকে লক্ষ্যভেদের চেষ্টা।
প্রথমটাতে ব্যর্থ হলেও সেট পিসে কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে কাজের কাজ হয়নি, গোল নামক সোনার হরিণের দেখা পায়নি মারিয়া-আখিরা।
এদিনও শুরু থেকেই মালয়েশিয়ার রক্ষণাভাগে হামলে পড়ে ছোটনের শিষ্যরা। প্রথম আট মিনিটেই চারবার কর্ণার পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। অষ্টম মিনিটে মালয়েশিয়ার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে দারুণ একটি শট নিয়েছিলেন আখি, কিন্তু বাম দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেছেন মালয়েশিয়া গোলকিপার।
ম্যাচের পুরো সময়ে বলের দখলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু সফরকারীদের জমাট রক্ষণে ভাঙন ধরাতে পারেনি তারা। ১১তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ।মণিকার পাসে পা লাগাতে পারলেই গোল পেয়ে যেতেন সেন্টারব্যাক মাসুরা মাসুরা পারভিন।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও একের পর এক আক্রমণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে মালয়েশিয়ার রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ানো ছাড়া কাজের কাজ হয়নি।
তবে প্রথম ম্যাচে জয়ের সৌজন্যে সিরিজ ঠিকই জিতে নিয়েছে গোলাম রব্বানি ছোটনের দল। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেছে দুই ম্যাচের সিরিজের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার জিতেছে আখি। অন্যদিকে মারিয়া মান্ডার হাতে উঠেছে সিরিজ সেরার পুরষ্কার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি