কাগজে-কলমে ওয়েলস জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হলেও, ডাগআউটে ছিলেন না দুই বছরের বেশি। ঝুলে থাকা দায়িত্ব অবশেষেই ছেড়েই দিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার রায়ান গিগস। আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েলসের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ওয়েলসের কোচের দায়িত্বে ছিলেন না গিগস। তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করছিলেন রবার্ট পেজ।
ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পেয়ে দারুণ করেছেন রবার্ট। ওয়েলসকে ২০২০ ইউরোতে নিয়ে গেছেন। এরপর তার অধীনেই চলতি বছরের কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে ওয়েলস। তবে গিগসের বিদায়ে হয়তো কাতার বিশ্বকাপে পূর্ণকালীন কোচ হিসেবেই ডাগআউটে দাড়াতে পারেন রবার্ট।
যদিও গিগসের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানিতে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে ম্যানচেস্টারের আদালত। তবু তিনি চান না তার ব্যক্তিগত ঘটনার প্রভাব ওয়েলস দলের উপর পড়ুক।
রাশিয়ান ক্লাবে খেলায় বিশ্বকাপে দলে জায়গা পাবেন না পোলিশ ফুটবলার
বলেন, “অনেক কিছু বিবেচনা করে আমি ওয়েলস জাতীয় ফুটবল দলের কোচের পদ থেকে সরে দাড়াচ্ছি। আমি চাই না এই মামলার (গিগসের বিরুদ্ধে তার বোনের) প্রতি এত আগ্রহ ওয়েলসের বিশ্বকাপ প্রস্ততিতে কোনোভাবে ক্ষতি করুক।” বিদায় বেলায় গিগসের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন ওয়েলস।
২০১৮ সালে ওয়েলস ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব নেন গিগস। কার্যত ২০২০ সালেই ওয়েলস কোচ হিসেবে তার অধ্যায় শেষ হয়ে যায়। দুই বছর পর এসে ঝুলে থাকা সম্পর্কের ইতি টানলেন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনে ওয়েলসের হয়ে ৬৪ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন গিগস। যেখানে তার নামের পাশে ১২টি গোল রয়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি